ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিপাকে নিবন্ধনধারীরা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:০৪  
আপডেট :
 ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:০৬

বিপাকে নিবন্ধনধারীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আখতারুজ্জামান রায়হান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেছেন নিজ যোগ্যতায়। ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর বেসরকারি কোম্পানির চাকরি ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে না পারার অভিযোগে মাউশির মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দ্বিতীয় তলায় সহকারী পরিচালক দূর্গা রানী সিকদারের কাছে আখতারুজ্জামান রায়হান প্রতারণতার অভিযোগ তুলে ধরেন। জানতে চান- তার নিয়োগ পাওয়া পদে বেতন-ভাতা হবে কিনা। মাউশির এই কর্মকর্তার কাছে সব বিষয় বুঝে নেন তিনি।

রায়হানের মতো শতাধিক নিয়োগ পাওয়া যুবকের একই দশা। বেসরকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শত শত মেধাবী চাকরি প্রার্থী। কারণ এনটিআরসিএ’র নিয়োগ মানছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

আখতারুজ্জামান রায়হান বলেন, ‘কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছি। সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় অন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। আমি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজার হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে গত ৭ ফেব্রুয়ারি যোগ দিয়েছি। এখন জানতে পারছি নতুন জনবল ও এমপিও কাঠামো অনুযায়ী আমার বেতন হবে না। আগের নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা দিয়েছিল। এনটিআরসিএ ওই চাহিদার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে আমাকে। এখন আমি নতুন বউয়ের কাছে কীভাবে মুখ দেখাবো? কী দিয়ে সংসার চালাবো?’

রায়হান আরো বলেন, ‘আমি এনটিআরসিএ বরাবর আবেদন জানাবো অন্য কোনো পদে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাকে নিয়োগ দিতে। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া চাহিদা যাচাই না করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে শুনছি। আমার মতো শত শত শিক্ষক এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে বেতন পাচ্ছেন না।’ এখন এ অবস্থার একটা সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এ জটিলতার বিষয়ে মাউশির এক কর্মকর্তা বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নতুন জনবল ও এমপিও কাঠমো না দেখে আগের নিয়মে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন এনটিআরসিএ বরাবর। তা যথাযথ হয়নি। এদিকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের যোগদানে বাধা দেওয়াসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কারণে দেশের ১৮৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি ও শিক্ষকদের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

তিনি বলেন, ১৮৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি ও এমপিও বাতিল চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে তালিকা পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মাউশির সহকারী পরিচালক দূর্গা রানী সিকদার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নতুন জনবল ও এমপিও কাঠমো না দেখে আগের নিয়মে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন এনটিআরসিএ বরাবর। তা যথাযথ হয়নি। সে কারণে তার এমপিও দিতে পারবে না মাউশি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেতন-ভাতা দিতে হবে। এমপিওভুক্তির বিষয়ে মাউশির কিছু করার নেই।’

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া চাহিদা ঠিক না থাকায় শতশত শিক্ষক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টির একটা সুরাহা হওয়া দরকার বলে মনে করেন মাউশির এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত