ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে হয়রানির অভিযোগ

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের এক শিক্ষিকা একই বিভাগের বিভাগীয় সভাপতির বিরুদ্ধে হয়রানি ও অশোভন মন্তব্যের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টির জন্য প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ভূক্তভোগী শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জুবায়ের ইবনে তাহের। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি। অন্যদিকে হয়রানির অভিযোগ করা একই বিভাগের শিক্ষিকার নাম সামান্থ্যা তামরিন।

ভিসিকে দেয়া লিখিত অভিযোগে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক সামান্থ্যা তামরিন বলেন, গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির ৩৭তম সভায় নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনা চলাকালে সভার সভাপতি ও বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের হঠাৎ করেই আমাকে উদ্দেশ্য করে অশোভন মন্তব্য করেন এবং অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন। তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাকে হুমকিও প্রদান করেন।

লিখিত আবেদনে আরো বলা হয়, সভায় অন্যান্য সহকর্মীদের উপস্থিতিতে এমন অশোভন ও অশালীন আচরণ একজন শিক্ষক হিসেবে আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক, মানহানীকর এবং নারী শিক্ষক হিসেবে হয়রানির সামিল। তার এমন অসংলগ্ন ও অস্বাভাবিক আচরণে আমি একজন নারী শিক্ষক হয়ে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।

লিখিত আবেদনে তিনি ভিসির কাছে একজন নারী শিক্ষকের সম্মান রক্ষার্থে এবং কর্মক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে উক্ত বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভিসির কাছে লিখিত অভিযোগ করার পরপরই ওই বিভাগের অভিযোগকারী শিক্ষিকাসহ আরো এক শিক্ষককে সতর্ককরণ নোটিশ দিয়েছেন অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের জানান, আমি ওই নারী শিক্ষকের সাথে কোনো অশোভন মন্তব্য, আচরণ ও অশালীন ভাষা প্রয়োগ করিনি। তিনি বলেন, ওই নারী শিক্ষকই আমার সাথে অশোভন আচরণ ও মন্তব্য করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর অভিযুক্ত শিক্ষক জুবায়ের ইবনে তাহের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্টার আব্দুল হাকিমের সাথে অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টি নিয়ে গত বছর ১ অক্টোবর গণিত বিভাগের শিক্ষক আর এম হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই শিক্ষকের প্রভাবের কারণে তদন্ত রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ওই বিভাগের এক নারী শিক্ষক অশোভন মন্তব্য ও অশালীন ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ করেছেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত