ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

১১তম গ্রেড পাচ্ছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

১১তম গ্রেড পাচ্ছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতনের গ্রেড বাড়ানো হচ্ছে। তাদেরকে সরকারি বেতন কাঠামোর ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বেতন বৈষম্য দূর করতেই এ সিদ্ধান্ত। শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে দিনে গড়ে ৭টি ক্লাস নিতে হয়। ক্লাসের বাইরেও প্রায়ই বিভিন্ন সরকারি জরিপের কাজে অংশগ্রহণ করতে হয়। নির্বাচনী দায়িত্বও পালন করেন। অথচ বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে ৯ হাজার ৭শ টাকা স্কেলে বেতন পান।

শিক্ষকরা বলছেন, এই সময়ে এত অল্প বেতনে জীবন ধারণ করা কষ্টকর। তাই সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম স্কেলে ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম স্কেলে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করার কাজ চলছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘বৈষম্য দূরীকরণের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। যে কোনো সময় এই নীতিমালা জারি করা হবে।’

১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা। এছাড়া গত ১৪ মার্চ দেশব্যাপী একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপরও দাবি আদায় না হওয়ায় ২০ মে ঢাকায় কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু সরকারের আশ্বাসের পর সেই কর্মসূচি পালিত হয়নি।

১৯৭৩ সালের পে-স্কেলে একজন প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক উভয়ই ২২০ টাকা স্কেলে বেতন পেতেন। ১৯৭৭ সালের পে-স্কেলে সর্বপ্রথম প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলের মধ্যে ১ ধাপ পার্থক্য সৃষ্টি করা হয় যা সকল সহকারী শিক্ষক স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নিয়েছিলেন। তখন একজন প্রধান শিক্ষক বেতন পেতেন ৩২৫ টাকা স্কেলে ও একজন সহকারী শিক্ষক বেতন পেতেন ৩০০টাকা স্কেলে। ১৯৭৭ সালের পে-স্কেলে প্রথম প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেলের মধ্যে যে ১ ধাপ পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়েছিল তা যথাক্রমে ১৯৮৫, ১৯৯১ ও ১৯৯৭ ও ২০০৫ সালের পে-স্কেলেও বহাল ছিল,অর্থাৎ ১৯৭৭ থেকে ২০০৫সাল পর্যন্ত যেসব পে-স্কেল দেয়া হয়েছিল তার সবগুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বেতনের মধ্যে বেতনের মাত্র ১ ধাপ পার্থক্যই ছিল। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন বৈষম্য প্রথম সৃষ্টি করা হয় ২৯শে আগস্ট ২০০৬ সালে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে প্রদত্ত আপগ্রেড স্কেলে।

সেই সময় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্য বেতনের ২ ধাপ পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়। প্রধান শিক্ষককে বেতন দেয়া হয় ১৩তম ধাপে (৩৫০০টাকা স্কেলে) ও সহকারী শিক্ষককে বেতন দেয়া হয় ১৫তম ধাপে (৩১০০টাকা স্কেলে)। ২০০৯ সালের ৭ম পে-স্কেলেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে ২ধাপ বেতনস্কেলের পার্থক্য ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালের আপগ্রেড স্কেলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ৩ ধাপ পার্থক্য তৈরী করে সবচেয়ে বড় ও নির্মম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়। তখন প্রধান শিক্ষককে বেতন দেয়া হয় ১১তম ধাপে ও সহকারী শিক্ষককে দেয়া হয় ১৪তম ধাপে। ২০১৫ সালের ৮ম পে-স্কেলেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে ৩ ধাপ পার্থক্যই চলমান থাকে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত