৩০১ কলেজের শিক্ষকরা সরকারি হয়নি এখনো
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০১৯, ১১:২০
৩০১টি কলেজ সরকারি হওয়ার পর এক বছর পার হলেও কলেজের কমবেশি প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি এখনো সরকারি হয়নি। দেরি হওয়ায় সুবিধাবঞ্চিত হয়েই অনেক শিক্ষককে অবসরে যেতে হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে যাচ্ছেন এই তথ্য তিনিও পেয়েছেন। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব এসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি করার কাজটি শেষ করার চেষ্টা চলছে।
সরকারি হওয়া এসব কলেজের শিক্ষকেরা চাচ্ছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন তাদের সরকারি করা হয়। যাচাইয়ে দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া এসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি বড় অংশের নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি রয়েছে।
নিয়মানুযায়ী কলেজ সরকারি ঘোষণার পর কলেজে বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ও কর্মচারীদের শিক্ষা, জনপ্রশাসন এবং সরকারি কর্ম কমিশনসহ (পিএসসি) সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হয়। সরকারি করার জন্য এসব কলেজের শিক্ষকদের তথ্য যাচাই করে শিক্ষা মন্তণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর কাজটি করছে মাউশি।
নিয়মনুযায়ী চাকরিতে থাকা শিক্ষকেরাই কেবল সরকারি সুবিধা পাবেন। কিন্ত জাতীয়করণ হওয়া এসব কলেজের শিক্ষকরা নিয়মিত অবসরে যাচ্ছেন। গত বছরের আগস্ট থেকে গত জুন পর্যন্ত ৩৩৮ জন শিক্ষক অবসরে গেছেন। আর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬৯ জন শিক্ষক অবসরে যাবেন। কিন্তু সরকারি না হওয়ায় সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অবশ্য এখন কেবল এসব কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা আগের মতো শুধু মূল বেতনটি পাচ্ছেন।
মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খরীর বলেন, তারা চেষ্টা করেছেন মন্ত্রণালয়ে যেন একেবারে নির্ভুলভাবে কাগজগুলো যায়। আশা করছেন তাদের পর্যায়ের কাজটি সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।
দেশের যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি কলেজ ছিল না, সেগুলোতে একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রক্রিয়া শুরু হলেও চূড়ান্তভাবে গত বছরের ১২ আগস্ট দেশের ২৭১টি বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণ করা হয়। এর আগে-পরে আরও ৩০টি কলেজ জাতীয়করণ হয়। এসব কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারী আছেন কমবেশি প্রায় ১৬ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ
