ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তা

সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি হলের সবগুলো রুম সার্চ করা হবে। কোন হলে কারা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলতা করছে তাদের ধরা হবে। আমি কোনো দলটল দেখবো না। কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। আবরার হত্যা প্রসঙ্গে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) গণভবনে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতি নেই, তবে বুয়েট মনে করলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটের কমিটি আছে, তারা যদি মনে করে বন্ধ (ছাত্ররাজনীতি) করে দিতে পারে। এখানে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না। এই যে ছেলেটাকে (বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ) হত্যা করল, এটা তো কোনো রাজনীতি না। বসুনিয়াকে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রাউফুন বসুনিয়া) যে হত্যা করেছিল সেটা রাজনৈতিকভাবে।’

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি ব্যান করে দিতে হবে- এটা তো মিলিটারি ডিক্টেটরদের কথা। এখানে রাজনীতিটা কোথায়? এর কারণটা কোথায়? এটা খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভারতকে যে গ্যাস দেব তা আমাদের নিজেদের গ্যাস নয়। আমরা দেশের কোনো প্রাকৃতিক গ্যাস ভারতকে দিচ্ছি না। তিনি বলেন, এলপিজি প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। আমরা আমদানি করে এ গ্যাস ভারতকে দিচ্ছি। যার ফলে আমাদের রপ্তানি তালিকায় আরো একটা আইটেম যুক্ত হচ্ছে। এতে দেশের কোনো স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এটা আমরা উন্মুক্ত করে দেয়ায় অল্প দামে পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে ২৬টি কোম্পানি কাজ করছে। ১৮টি কোম্পানি গ্যাস উৎপাদন করছে। আমরা আমদানি করে সে গ্যাসই ত্রিপুরায় দিচ্ছি। এখানে আমাদেরই লাভ হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কতো গ্যাস আছে, সেটা গবেষণা করে না বের করা পর্যন্ত আমি বিক্রি করতে পারি না। আমি দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করতে পারি না।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও আমি একই কথা বলেছিলাম। একদল গবেষক সার্ভে করে জানিয়েছিলো প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করা যাবে। আমি তখন সঠিক তথ্য জানতে চাইলে গবেষকদল কতো গ্যাস আছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেনি।

বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে তা কখনো হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ত্রিপুরা থেকে আমরা বিদ্যুৎ কিনছি। ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক অনেক আগে থেকেই।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ত্রিপুরা কিছু চাইলে আমাদের তাদের দিতে হবে। ১৯৭১ সালে আমাদের লোকেদের ত্রিপুরা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। ওই অঞ্চল আমাদের জন্য বিরাট একটা শক্তি ছিলো। খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো, থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত