ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:২১

কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস বা কোনো প্রতারণা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারি করা হবে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের তো ব্যাপার নয়।

‘সেগুলোকে ব্যবহার করে যেন কোনো ধরনের প্রশ্নফাঁসের মতো কিংবা প্রতারণার করার মতো কাজগুলো না করতে পারে অপরাধী চক্র, সে ব্যাপারে আমাদের সব গোয়েন্দা সংস্থার তীক্ষ্ণ নজরদারি রয়েছে। আমাদের সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কাজেই যাকে ধরা হবে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আসছে ২ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময়টিতে সব ধরনের কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

কোচিং সেন্টার এবারও বন্ধ থাকবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। সেজন্য হয়তো যারা জেএসসি-জেডিসির শিক্ষার্থী নয় তার বাইরে যারা আছে তাদের সাময়িক কিছু অসুবিধা হবে, কিন্তু প্রশ্নফাঁস মুক্ত পরীক্ষার স্বার্থে এটির বিকল্প এখনও আমরা বের করতে পারিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা কোচিং বাণিজ্যের লাগাম যতদূর সম্ভব পুরোপুরি টেনে না ধরতে পারা পর্যন্ত আমাদের এই ব্যবস্থা নিতেই হচ্ছে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় এবছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মতো যেভাবে প্রশ্নফাঁস ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি, আশা করছি জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও একইভাবে সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে এবং নকলমুক্তভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।

‘অভিভাবকদের আহ্বান জানাবো, তারা যেন এই অনৈতিক প্রক্রিয়াতে কোনোভাবেই যুক্ত না হন প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে, কারণ তাদের সন্তারদের ভবিষ্যৎ কিন্তু এর ওপরে নির্ভর করে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে প্রশ্নফাঁস বন্ধের ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। কিন্তু এর যদি চাহিদা থাকে তখন কিন্তু প্রতারক গোষ্ঠী থেকে শুরু করে ক্রিমিনালরা এটির সুযোগ নেবে। কাজেই এর যেন কোনো চাহিদাই না থাকে। কোনো অভিভাবক, কোনো শিক্ষার্থী যেন প্রশ্নফাঁস না চান, তারা যথাযথভাবে পরীক্ষার প্রস্ততি নেবে, পরীক্ষা দেবে এবং মেধা অনুযায়ী ফলাফল পাবে, সেটিই হওয়া উচিত।

এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগের মতো পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ এবং ২৫ মিনিট আগে প্রশ্ন সেট ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। ৩০ মিনিট আগে না ঢুকতে পারলে তার নাম-রোল লিখে ওই দিন বোর্ডে পাঠাতে হবে। পরীক্ষার তিনদিন আগে প্রশ্ন সর্টিং করতে হবে বলেও জানানো হয়।

এছাড়াও প্রশ্ন বহন কাজে কালো কাচের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, বেআইনি কোনো কাজ করলে সরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে হলে সাময়িক বরখাস্ত ও বেসরকারি হলে এমপিও বাতিলের সুপারিশ করা হবে।

সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত