স্থবির সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়
বেতন বৈষম্য নিরসন তথা সহকারী শিক্ষকদের ১১ তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ৩ ঘণ্টা এবং এর আগে সোমবার প্রথম দিনে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। ২৩ অক্টোবর দাবি আদায়ে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি কর্মবিরতি পালন করায় স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারণ অভিভাবকরা। তারা বলেন, আগামী ১৭ নভেম্বর শুরু হচ্ছে চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা। পরীক্ষার আর এক মাস মাত্র বাকি। এ মুহূর্তে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে শিশু শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তারা দ্রুত সরকারকে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৪টি সংগঠন নিয়ে গঠিত মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ডাকে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আর বেতন বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।
যদিও ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের হুঁশিয়ার করেছে। তাতে তাতে কর্ণপাত করছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা।
শিক্ষক নেতারা জানান, বেতন বৈষম্য নিরসনের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেলে সাথে সাথে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে। এদিকে বেতন বৈষম্য নিরসন প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি দেয়ায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।