ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

যে চার শর্তে এমপিও পেল ২৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৩০

যে চার শর্তে এমপিও পেল ২৭৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সারাদেশের ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল।

সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৬টি প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এমপিও দেওয়া হয়। এর পর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে চলছিল শিক্ষকদের আন্দোলন। এমনকি জাতীয় সংসদেও এমপিরা এই দাবিতে ছিলেন সরব।

বুধবারের ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করার রেকর্ড করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বক্তৃতাকালে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সব নির্দেশনা পূর্ণ করতে পেরেছেন বলে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে। কেউ যদি এটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, সঙ্গে সঙ্গে তার এমপিওভুক্তি বাতিল হবে। কারণ এমপিওভুক্তি হয়ে গেছে- বেতন তো পাবই, ক্লাস করানোর দরকার কী, পড়ানোর দরকার কী- এ চিন্তা করলে কিন্তু চলবে না।

এমপিওভুক্তি বুধবার ঘোষণা করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা জুলাই থেকেই এর সুবিধা পাবেন বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল ও কলেজ ১ হাজার ৬৫১টি আর বিভিন্ন ধরনের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মাদ্রাসা ১ হাজার ৭৯টি।

নতুন এ এমপিওভুক্তির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগে ৮৮১ কোটি টাকা ব্যয় বেড়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে প্রায় ৪৫১ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে ৪৩০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ল। বর্তমানে এমপিওভুক্ত ২৮ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বছরে ব্যয় হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নীতিমালায় যে নির্দেশনাগুলো রয়েছে, যারা সেই নির্দেশনাগুলো পূরণ করতে পারবেন এবং সেই স্কুলগুলো যেগুলোর আসলে প্রয়োজন আছে সেটা বিবেচনা করেই আমরা এমপিওভুক্ত করব। কাজেই যারাই এমপিওভুক্তি চান তাদের এ নির্দেশনা মানতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা করে দিচ্ছি ঠিকই কিন্তু ওই নীতিমালাগুলো পূর্ণ করতে হবে এবং সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। যদি এমপিওভুক্তির এ সুযোগটাকে অব্যাহত রাখতে চান।

এমপিওভুক্তিতে চার শর্ত : নতুন এমপিওভুক্তদের চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮ অনুযায়ী আরোপিত শর্ত পূরণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন বিধি-বিধান ও সংশ্লিষ্ট পরিপত্র মোতাবেক প্রযোজ্য হবে। নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার আগে বিধিসম্মতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের অবশ্যই নিবন্ধন সনদ লাগবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে তার মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে কাম্য যোগ্যতা অর্জন করলে এমপিও ফের অবমুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা হবে। যেসব তথ্যাদির আলোকে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে কোনো তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণিত হলে তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রদানকৃত তথ্যের সঠিকতা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত