ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রলীগের নিপীড়নের শিকার ২৮২ শিক্ষার্থী: ভিপি নুর

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৫৪  
আপডেট :
 ৩০ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৫৫

ছাত্রলীগের নিপীড়নের শিকার ২৮২ শিক্ষার্থী: ভিপি নুর

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, প্রশাসনের সাথে ছাত্র সংগঠনের সম্পর্ক থাকা উচিত ছাত্রদের কল্যাণের জন্য। কিন্তু তারা সম্পর্ক রাখে ছাত্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য। সে কারণে যারা যখন ক্ষমতায় থাকে, তাদের ছাত্র সংগঠন নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। গত সাত বছরে ২৮২ জন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, হলগুলো ছাত্র সংগঠন নিয়ন্ত্রণ করলে হলের প্রশাসনের কাজ কী? ছাত্র সংসদের ধারাবাহিতকা থাকলে পরিবর্তন আসবেই। হলে হাউস টিউটর থাকেন, হল প্রাধ্যক্ষ থাকেন- তাহলে কেন একটি ছাত্র সংগঠন হলগুলো চালাবে।

বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত গণরুম-গেস্টরুম সমস্যা নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের এক উম্মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মশিউর রহমান, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।

তিনি অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের নানা নির্যাতনের সাথে ছাত্রলীগ সরাসরি জড়িত থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয় না। তারা ব্যবস্থা নিলেও লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়া হয়, লোকদেখানো বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে আবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ডাকসুর ভিপি হয়েও ছাত্রলীগের হাতে এসএম হলে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি। সেখানে হল প্রাধ্যক্ষ ছিলেন। প্রকাশ্যে আমাকে লাঞ্ছনা করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

নুরুল হক বলেন, ছাত্রলীগের বিশ বছরের অবদান কী? কোনো অবদান নেই। বরং শিক্ষার্থীদের কাছে তারা নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। গত সাত বছরে ছাত্রলীগের হাতে ২৮২ জন শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও তারা কেন আজ শিক্ষার্থীদের ত্রাসের কারণ হবে? কেন আজ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিতে হয়? যে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে, তারা কেন আজ নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ?

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাগাম টেনে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু যুবলীগের শুদ্ধি অভিযান চালালে হবে না । ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হলে তারা আপনার (শেখ হাসিনা) ক্ষতির কারণ হবে।

ডাকসুর ভিপি বলেন যে বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মুক্ত জ্ঞানচর্চার অবাধ বিচরণ ভূমি, আজকে সেখানে ভিন্নমত পোষণ করাটা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলার স্বাধীনতা নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই, পড়াশোনার পরিবেশ নেই। সেজন্য আজকে আমাদের কথা বলতে হচ্ছে, আজকে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি কথা না বলি তাহলে আজকে বুয়েটের যে আবরারের ঘটনা সে ঘটনা বারবার ঘটবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত