ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাইমারি স্কুলের সভাপতিকে হতে হবে স্নাতক পাস

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৩৯  
আপডেট :
 ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৫৩

প্রাইমারি স্কুলের সভাপতিকে হতে হবে স্নাতক পাস

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ছে। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১৩তম।

আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে স্নাতক ডিগ্রী। আর বিদ্যোৎসাহী দুই সদস্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত মাধ্যমিক পাস।

এই শর্ত যুক্ত করে প্রাইমারী স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে নতুন নীতিমালা জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাহানারা বেগম স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সভাপতি হওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো শর্ত ছিল না। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ১১ সদস্যের ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ হবে ৩ বছর। কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবেন একজন। বিদ্যালয়ের জমিদাতা বা তার উত্তরাধিকারীদের মধ্য থেকে সদস্য থাকবেন একজন। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্তে এই সদস্য মনোনীত হবেন।

অভিভাবকদের মধ্য থেকে একজন বিদ্যোৎসাহী নারী এবং একজন পুরুষ সদস্য থাকবেন। এই দুজন সদস্যের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে এসএসসি পাস। এই দুজন সদস্য মনোনীত করার ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শ নিতে হবে।

অভিভাবকদের মধ্য থেকে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী অভিভাবক থাকবেন। এই চারজন সদস্য নির্বাচিত করবেন অভিভাবকরা। সহকারী উপজেলা বা সহকারী থানা শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।

একই উপজেলার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় এলাকার কাছাকাছি যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিকা একজন সদস্য থাকবেন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বা পৌর কিংবা সিটি করপোরেশন এলাকার কাউন্সিলর পদাধিকার বলে সদস্য থাকবেন।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১ তম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাঁরা ঢাকায় সমাবেশ করে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বর্জনেরও হুমকি দিয়েছিলেন। অবশ্য পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করার পর শিক্ষকেরা পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত