ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইবিতে একই প্রশ্নে দুইবার পরীক্ষা

  ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৮

ইবিতে একই প্রশ্নে দুইবার পরীক্ষা

একই প্রশ্নপত্র দিয়ে টানা দুইবার অনার্স তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগ। গত ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৩০৫ নং কোর্স পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

র্কোস শিক্ষকদের দেয়া প্রশ্ন সমন্বয় না করেই তড়িঘড়ি করে বিগত বছরের প্রশ্ন কপি করে এ পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন অনার্স তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আজগর হোসেন।

জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর এলিজাবেথান এ্যান্ড জ্যাকোবিয়ান ড্রামা (৩০৫) নং কোর্সের পরীক্ষা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একই কোর্সের ২ ও ৩ নং প্রশ্ন পরির্বতন করে একই অংশে অথবা ব্যবহৃত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছ, যা নিয়মের পরিপন্থী। এছাড়াও ব্যাখ্যা অংশে সি নং ব্যতীত সকল প্রশ্ন মিল রেখে তিনি এ পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন।

তবে দুই এবং তিন নং প্রশ্নের মূল প্রশ্ন পরিবর্তন করা হলেও বিকল্প প্রশ্ন দুটির কোন পরিবর্তন করা হয়নি।

এছাড়াও ৬ নং প্রশ্নের ৮টি ব্যাখার মধ্যে ৪টি উত্তর করতে বলা হয় এতে সকল প্রশ্ন যথাযথ স্থানে মিল রেখে শুধুমাত্র সি নং প্রশ্নটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপোক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এভাবে একই প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত এ নিয়ে সচেতন শিক্ষক মহলেও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৮ সলের প্রশ্ন দিয়েই ২০১৯ সালে আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই কোর্সের প্রশ্ন আগে থেকে কিছু শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে বলেও তারা মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক আজগর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভাগীয় মেয়ে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাসায় যাতায়াতসহ তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আজগর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই। যে সকল শিক্ষক এই কোর্সের ক্লাস নিয়েছে তারা যদি একই বিষয় এবারও পড়ান তাহলে একই ধরনের প্রশ্ন হবে এতে আমার কিছু করার নেই।’

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত