ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

কথা রাখেননি গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

কথা রাখেননি গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়া হবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই মন্তব্য করেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদ’ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, আপনারা শিক্ষক, আপনাদের সুযোগ-সুবিধা দেখা হবে। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দেওয়া হবে। আর যেসব দাবি আপনারা করেছেন, তা সবই পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন। দেশের সকল সরকারি প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের পরের গ্রেডে বেতন পাবেন বলেও শিক্ষকদের কথা দিয়েছিলেন তিনি।

শিক্ষকরা বলছেন, প্রতিমন্ত্রী নিজের দেওয়া কথা রাখেননি। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১১তম, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১২তম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি একধরনের প্রহসন বলে মনে করছেন তারা। একই সঙ্গে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: ১১তম গ্রেড পাবেন সহকারী শিক্ষকরা

প্রাথমিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। এ দাবিতে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন তারা। পরে বেতন বৈষম্য নিরসনে গত ২৮ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গত ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন) জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর ১১তম গ্রেডে (১২৫০০-৩০২৩০ টাকা) এবং সহকারী শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন) ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু নতুন এ বেতন স্কেল প্রত্যাখ্যান করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এটি একধরনের প্রহসন। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি।’ অন্যথায় নতুনভাবে আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বাংলাদেশ সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের সভাপতি আনিছুর রহমান বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দিলে শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য আরও বেড়ে যাবে। অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ বর্তমানে শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষক একাধিক টাইম স্কেল পেয়ে ইতোমধ্যে ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। তাদের যদি আবার ১৩তম গ্রেডে নামিয়ে বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হয় তাহলে তো আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত