ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

এমপিওভুক্তি: সিঙ্গাপুর থেকে উড়ে এলেন শিক্ষক

এমপিওভুক্তি: সিঙ্গাপুর থেকে উড়ে এলেন শিক্ষক

গেল ২৩ অক্টোবর সারাদেশে ২৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে কাদিরকোল আদর্শ দাখিল মাদরাসাটিও এমপিওভুক্তি হয়। বর্তমানে মাদারাসাটিতে প্রায় ১৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদরাসা এমপিওভুক্তির খবর পেয়ে সিঙ্গাপুর থেকে এসে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন মো. মোমিনুর রহমান।

শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মো. মোমিনুর রহমান প্রতিষ্ঠানটিতে ২০০৪ সালে যোগদান করেন। এরপর প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২০০৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চলে যান সিঙ্গাপুর। সেখানেই কাজ করতেন। এরপর হঠাৎ মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় গেল এক নভেম্বর তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরদিন রোববার সকালে গিয়ে মাদরাসায় যোগদান করেন। ওই শিক্ষকের প্রতিনিধি হিসেবে ক্লাস নিতেন তার ছোট ভাই মিজানুর রহমান।

দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে থাকা শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মো. মোমিনুর রহমান বলেন, আমি ২০০৪ সালে প্রথম যোগদান করি। এরপর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুর চলে যাই। গেল ২৩ তারিখ মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ায় মাদরাসাটিতে যোগ দিয়ে ক্লাস নিতে শুরু করি।

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাদিরকোল আদর্শ দাখিল মাদরাসা। প্রথমে তিনজন শিক্ষক দিয়ে ইবতেদায়ী পাঠদান শুরু হয় মাদরাসাটিতে। এরপর ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে বিনা পারিশ্রমিকে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী।

প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে মাদরাসা সুপার রেজাউল ইসলামের মিথ্যা আশ্বাসে কপাল পুড়েছে গণিত বিষয়ের শিক্ষক মনোয়ার হোসেনের। এছাড়াও ২৩ তারিখে এমপিওভুক্তি ঘোষণার পরের তিনদিন সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যিনি এর আগে কখনও প্রতিষ্ঠানে আসেননি।

গণিত বিষয়ের শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি পাঁচ বছর এই প্রতিষ্ঠানটিতে গণিত বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। ২০১৪ সালে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমার শিক্ষক নিবন্ধন নেই। এসব কিছু জেনেও মাদরাসার সুপার রেজাউল ইসলাম ও সভাপতি আলী হোসেন আমাকে বলেন, এই পদে না হলেও অন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি বিএসসি পাশ করেও প্রতিষ্ঠানটিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে কাজ করতে আগ্রহী। আমার সরকারি চাকরির বয়স শেষ।

এ ব্যাপারে কাদিরকোল আদর্শ দাখিল মাদরাসার সুপার রেজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ননএমপিও থাকায় শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মোমিনুর রহমান সিঙ্গাপুর চলে যান। তার ছোট ভাই মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতেন।

গণিত বিষয়ের শিক্ষকের নিবন্ধন না থাকার পরেও কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিবন্ধন থাকলে তাকে প্রতিষ্ঠানে রাখা সম্ভব হতো। এমপিওভুক্তির পর চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আগেই নিয়োগ ছিল। গেল ২৬ তারিখে তিনি যোগদান করেছেন। মাদরাসাটির সভাপতি আলী হোসেন বলেন, শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মোমিনুর রহমান ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সিদ্দিকুর রহমান আগেই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন তারা অনুপস্থিত ছিলেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসূদন সাহা বলেন, নিবন্ধন শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এরপর থেকে নিবন্ধন ছাড়া কাউকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেওয়া যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত