ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওরা যেন ফিরে গেল কৈশোরে!

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫০  
আপডেট :
 ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ২১:১৭

ওরা যেন ফিরে গেল কৈশোরে!

রাজধানী ঢাকায় লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ড. এম হাবিবুল্লাহ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

এ সময় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ভবানীগঞ্জ হাইস্কুল ওল্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন মিলনমেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হাসিনা আক্তার। তিনি সংগঠনটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ চৌধুরী শুভর নাম ঘোষণা করেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন— ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এন জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সালাহ উদ্দিন আতিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুল আলম ফুয়াদ, নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ইকবাল চৌধুরী, ক্যাটস আইর পরিচালক আশরাফ উদ্দিন শিপলু, উইনক্লো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রাব্বি, ফার সিরামিকসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাহবুবুর রহমান, চৈতি গ্রুপের এইচ আর হেড মিজানুর রহমান, ব্যাংকার সৈয়দ পারভেজ, নজরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মারজাহান আক্তার ও জাকির হোসেন, সানা উল্যাহ প্রমুখ।

এর আগে নিজেদের মধ্যে পরিচিতি, স্মৃতিচারণ, আড্ডা গল্পে মেতে ছিলেন বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। যেন ঢাকায় নেমেছিল এক টুকরো ভবানীগঞ্জ। বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস আর মনটা যেন ছুটে গিয়েছিল দুরন্ত কৈশোরে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করে বলতে চেয়েছেন, ‘ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়! স্মৃতির সমুদ্রে ভেসে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে তারা যেন বললেন, ‘আয়, আরেকটি বার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়। মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।’ অনুষ্ঠানের শেষদিকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকদের বিদ্যালয় থেকে করুণভাবে বিদায়ের স্মৃতিচারণ বর্ণনা করতে গিয়ে সংগঠনটির উদ্যোক্তা আরিফ চৌধুরী শুভ নিজে যেমন কেঁদেছেন, তেমনি কাঁদিয়েছেন উপস্থিত সবাইকে। এ সময় একটি আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই গ্রামীণ ছেলেমেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। ১৯৯৮ সালে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাবির শিক্ষক সাইফুল আলম ফুয়াদ সারাদেশে প্রথম স্ট্যান্ড করেছেন।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাফল্যগাথা হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এই চিন্তা থেকেই আমরা সংগঠিত হয়েছি। আমরা নিজেদের মধ্যে মেলবন্ধন অটুট রাখার মাধ্যমে আমাদের প্রিয় বিদ্যাপীঠ ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমরা প্রিয় বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে চাই। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চায় কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখে বিদ্যালয়ের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারে। তাছাড়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা নানা সংকটে বিপর্যস্ত, তাদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়েও চিন্তাভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করার উদ্যোক্তা এসএসসি ২০০৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ চৌধুরী শুভ। তার উদ্যোগ ও নিরলস প্রচেষ্টায় গত ৬ জুন ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রথমবারের মতো প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়। এ সময় ‘ভবানীগঞ্জ হাইস্কুল ওল্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়

  • সর্বশেষ
  • পঠিত