ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৪

১৩তম গ্রেড প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ছে। এর মধ্যে প্রশিক্ষণ পাওয়া ও প্রশিক্ষণবিহীন দুই ধরনের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড হবে ১৩তম।

বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতিসহ প্রস্তাব পেলে এই পদেরও বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।

তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণের প্রস্তাব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের নেতারা। ওই প্রস্তাব বাদ দিয়ে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১ তম গ্রেডে নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবির কথা জানান শিক্ষক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের সভাপতি শাহীনুর আকতারের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে দীর্ঘ পাঁচ বছর বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে বেতন উন্নীতকরণের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় প্রেরণ করেন; যা সহকারী শিক্ষকদের কাম্য নয়।

তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৮ সেপ্টেম্বর ১২তম গ্রেডে উন্নীতকরণের সুযোগ নেই মর্মে প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করেছে এবং ৭ নভেম্বর ১৩তম গ্রেডে বেতন উন্নীতকরণে সম্মতি প্রদান করে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের সভাপতি শাহীনুর আকতার জানান, ১৩তম গ্রেডে সকল শিক্ষকদের বেতন কমে যাবে এমন কি ১২তম গ্রেডেও সহকারী শিক্ষকদের ১টি টাকাও বাড়বে না। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের রায় কার্যকর হলে ১১তম এবং ১০ গ্রেডে টাকার অংকে বৈষম্য হবে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

তিনি বলেন, গ্রেডে বৈষম্য দূর হলেও টাকার অংকে এই বৈষম্য থেকেই যাবে। সুতরাং বেতন বৈষম্য নিরসনে ১১তম গ্রেডের কোনো বিকল্প নাই। সহকারী শিক্ষকদের দাবি অগ্রাহ্য করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে ১৩তম গ্রেডের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল; সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন উন্নীতকরণের প্রস্তাব পুনরায় প্রেরণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ১৩তম গ্রেড মানিনা। ১৩তম গ্রেডে বেতন উন্নীত করা সহকারী শিক্ষকদের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না। মহাজোট ১১তম গ্রেডে বেতন উন্নীতকরণের দাবিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে যে সময় বেঁধে দিয়েছে তার মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মো. আমিনুল হক, মো. এনামুল হক, মো. এখলাচুর রহমান, আব্দুল ওহাব শেখ, সাজ্জাদুর রহমান খোশনবীস, আব্দুর রউফ শাহীন, আহম্মেদ কায়সার, মো. রাসেল, মনসুর আলম টিপু, কবিরুল ইসলাম, মো. আলমেরাজ, শামসুল হক, রফিকুল ইসলাম, মো. আব্দুর রব লাবু, মো. আমিনুর রহমান, বিপ্লব চন্দ্র দাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত