ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তির প্রলোভন, আওয়ামী লীগ নেত্রী ধরা

  জাককানইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৫০  
আপডেট :
 ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৩৯

পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তির প্রলোভন, আওয়ামী লীগ নেত্রী ধরা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অর্থের বিনিময়ে উত্তীর্ণ করিয়ে দেবার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে ময়মনসিংহের এক আওয়ামী লীগ নেত্রীসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তায় নিয়োজিত র‍্যাবের টহল সদস্যরা।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেক পোস্টে আওয়ামী লীগ নেত্রী লুৎফর নাহার বেগম লাকীর (৩৭) সাথে তর্কে লিপ্ত হোন এক ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর অভিভাবক হাসিনা বিনতে হাকিম (৫০)। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে র‍্যাবের টহল দল এবং ভর্তি পরীক্ষায় নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকরা জানতে পারেন, তাদের মাঝে এক পরীক্ষার্থীকে অবৈধ পন্থায় ভর্তি করানোর বিনিময়ে অর্থ লেনদেনদের মত ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্তে র‍্যাবের টহল এবং স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা তাদের প্রক্টর অফিসে প্রেরণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড উজ্জ্বল কুমার প্রধান। তিনি বলেন, এই ঘটনায় অধিকতর তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের ত্রিশাল থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর অভিভাবক হাসিনা বিনতে হাকিম বলেন, ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগ নেত্রী লুৎফর নাহার বেগম লাকী আমাকে টাকার বিনিময়ে আমার সন্তানকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেবার প্রস্তাব দেন, আমি কথামত তাকে দেড় লাখ টাকার চুক্তিতে একটি ব্ল্যাংক চেক লিখে দেই। এরপর তিনি কোন টাকা নেননি বলে গড়িমসি করলে তার সাথে আমার তর্ক বাধে।

ঘটনায় অভিযুক্ত লুৎফর নাহার বেগম লাকী বলেন, না, এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। এই পাগল মহিলা আমাকে, আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ‘খাওয়ার’ জন্য এইসব উল্টাপাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছে, আমার হাত কত লম্বা আপনারা জানেন না, আমি এইটার শেষ দেইখা ছাড়াম।

ঘটনার প্রেক্ষিতে এর সুস্পষ্ট কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেরও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিজেকে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বলে দাবি করে তিনি বলেন, তোরা দুই টেহার ক্যামেরাম্যানরে (সাংবাদিক) আমি টেহা দিয়া রাহি (টাকা দিয়ে রাখি)। এসময় সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি তুলতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা মোর্শেদ উল হাসান খান বলেন, অধিকতর তদন্তের জন্য আমরা আটককৃতদের ত্রিশাল থানায় প্রেরণ করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত