ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেসরকারিভাবে প্রথম বিএসসি ইন এগ্রিকালচার প্রোগ্রাম চালু করে আইইউবিএটিতে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০৬

বেসরকারিভাবে প্রথম বিএসসি ইন এগ্রিকালচার প্রোগ্রাম চালু করে আইইউবিএটিতে

সারা দেশে কৃষিবিদদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কৃষিতে পড়াশোনা করে নিঃসন্দেহে ভালো ক্যারিয়ার গড়া যায়। এর কারণ মানুষের খাবার উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাই এ বিষয়ে দক্ষ গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা কখনও কমবে না।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত গ্রিন ক্যাম্পাস দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির বিএসসি ইন এগ্রিকালচার ৪ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারিভাবে বিএসসি ইন এগ্রিকালচার প্রোগ্রামের জোয়ার শুরু হয়েছে মূলত আইইউবিএটির হাত ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইবিএর সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন। কৃষিতে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তুলতে আইইউবিএটি বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সর্বপ্রথম ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক প্রোগ্রাম শুরু করে।

ব্যাচেলর অফ সাইন্স ইন এগ্রিকালচার পাস করে সরকারি ও বেসরকারি অনেক ভালো ও প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়া যায়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, সার্ক অ্যাগ্রিকালচার সেন্টারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ থাকছে। বিসিএস পরীক্ষায় কৃষি গ্র্যাজুয়েটরা টেকনিক্যাল ক্যাডারে বিশেষ সুযোগ পাচ্ছেন। তারা উপজেলাগুলোতে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। সাধারণ ক্যাডারে কৃষিবিদদের সংখ্যাও লক্ষণীয়। এরপরই কৃষিবিদদের খুব পছন্দের জায়গা হলো সরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ তুলা গবেষণা ইন্সটিটিউট, মৃত্তিকা গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেওয়া যায়।

তাছাড়া উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানেও ক্যারিয়ার গড়া যায়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট, তুলা বোর্ড, চা বোর্ড, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলেও কৃষিবিদেরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। অন্যান্য ব্যাংক তো বটেই, সরকারের বিশেষায়িত ব্যাংক। এ ছাড়া সার কারখানা, চিনিকল, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, কীটনাশক তৈরির কারখানা, ব্র্যাক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতেও কাজ করছেন কৃষিবিদেরা। এসিআই, অ্যাগ্রো মেটাল, সিনজেনটা, লাল তীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি গবেষণা ও বীজ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার সুযোগ আছে। কৃষি বিষয়ে পাঠদানের জন্য কলেজেও শিক্ষক হতে পারেন।

আইইউবিএটির সাথে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন- অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েল্থ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ), ইংল্যান্ড, রিজিওনেল সেন্টার অব এক্সর্পাটাইজ অন সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট (ইউএনইউআইএএস), ইউনাইটেড নেশনস, ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অপরচুনিটি ফর অর্গানিক ফার্মিং ইউকে ইত্যাদি। বিশ্বে ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সাথে আইইউবিএটির সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। আইইউবিএটি থেকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ক্রেডিট ট্রান্সফার করার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়াও আইইউবিএটির গ্রাজুয়েটরা বিদেশের যে কোনো দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও কৃষি পেশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করছেন। অতীতের ধ্যান-ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে আজকের মেয়েরা এগিয়ে আসছেন কৃষি শিল্পের বিকাশের জন্য। অনেক মেয়েরা আছেন যারা দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে বড় বড় পদে র্কমরত আছেন।

আইইউবিএটির ব্যাচেলর অফ সাইন্স ইন এগ্রিকালচার প্রোগ্রামের সকল শিক্ষক পিএইচডি ডিগ্রীধারী। এই প্রগ্রামের প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশ এবং বিশ্বে কৃষি সেক্টরের জন্য জ্ঞানী এবং পেশাগতভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।

আইইউবিএটি ‘প্রত্যয়’: যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা- প্রয়োজনে মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯০টি বৃত্তি দেয়া হয়।

করোনা মহামারিতে নতুন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়। ‘ফল সেমিস্টারে’ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফির ওপর শতকরা ৭৫ ভাগ এবং টিউশন ফির ওপর শতকরা ১৫ ভাগ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে আইইউবিএটি। এছাড়াও মেধাবি তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন। মোট কথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন।

আইইউবিএটিতে পড়তে চাইলে কৃষি ডিপ্লোমা/এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগ/ ‘এ’ লেভেল থেকে ন্যূন্যতম জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে। কৃষি ডিপ্লোমার চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।

কৃষি তাদেরই পড়া উচিত, যারা মাটি ও উদ্ভিদের সঙ্গে থাকতে চান। দেশ-বিদেশে গবেষণা করে নতুন জাত উদ্ভাবন, ফসলের প্রক্রিয়াজাত করে খাদ্যের মূল্যমান বৃদ্ধি, কৃষি বিপণন ও রপ্তানি কিংবা কৃষি উদ্যোক্তা হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা কৃষি নিয়ে পড়তে পারেন।

আইইউবিএটি সম্পর্কে আরো জানতে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরা মডেল টাউন (আশুলিয়া অভিমুখী হাইওয়ে) সেক্টর ১০, উত্তরা ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল সবুজ ক্যাম্পাস। আইইউবিএটির ওয়েবসাইট www.iubat.edu -এ যাবতীয় তথ্য দেওয়া আছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত