তিতুমীরের বন্ধ ছাত্রাবাসে ওরা কারা?
তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৬:২২
করোনার প্রভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত সরকারি তিতুমীর কলেজও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ আটমাসেরও বেশি সময় ধরে অনলাইনে স্বল্প পরিসরে ক্লাস চললে ছাত্রাবাসে নেই কোনো শিক্ষার্থী। কিন্তু আজ শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) এই ছাত্রাবাসে ক্যাম্পাস সাংবাদিক সমিতির এক সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে দুই ছাত্রলীগ কর্মী। তারা হামলায় জড়িতের বিষয়টিও শিকার করেছেন।
সকালে কলেজের আক্কাসুর রহমান আঁখি ছাত্রবাসের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসেন বলেন, এ সময় কোনো শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসে থাকার কথা নয়। এটি খুবই নিন্দনীয় এবং অনাকাঙিক্ষত ঘটনা। খোঁজ নিয়ে আমরা কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
কেন হামলার ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে জানতে চাইলে হামলার শিকার দৈনিক অধিকারের ক্যাম্পাস সংবাদদাতা মামুন জানান, করোনার মধ্যে কলেজে একটি সরকারি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমরা কয়েকজন ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আসি। পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গণজমায়েত করে পরীক্ষার হলে ঢুকছিল সেই ছবি ধারণ করে ছাত্রাবাসের সামনে যাই। এ সময় বন্ধ ছাত্রবাসের গেইটের ছবি তুলতেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের প্রতিহত করে। পরে আমরা সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরো বেশি উদ্ধত হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মোবাইল কেড়ে নেয়। মোবাইল চাইতে গেলে হামলা করে। পরে হামলাকারীরা ছাত্রাবাসের ভেতর চলে যায়।
অভিযুক্ত সাদেকুর রহমান রিজেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সাংবাদিক না কী আমরা জানি না। আমাদের ছোট ভাই তাই আমরা দুই-একটা চড়-থাপ্পর দিছি। এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভালো হবে না।
আরো পড়ুন: কালকিনি থেকে এসে তিতুমীরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
সূত্র বলছে হামলার সাথে জড়িত ওই দু’জনের একজন সাদেকুর রহমান রিজেন কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও বনানী থানা ছাত্রলীগকর্মী। আরেকজন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ার আল মামুন।
তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে বনানী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম মিরাজুল ইসলাম মাহফুজ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্তদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি শামিম হোসেন শিশির বলেন, আমরা এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা সব সময় পারস্পরিক সৌহার্দ রেখে কাজ করে আসছি।করোনার মধ্যে পেশাগত কাজে এমন হামলার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে উত্তর ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম জার্নালকে বলেন, আমরা এখনো কিছু শুনেনি- অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বহিষ্কার করা হবে।
তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল বলেন, এরা কেউ আমাদের কর্মী না। ছাত্রলীগ এ হামলার দায়ভার নিবে না। আপনারা আইনি ব্যবস্থা নিলে আমরা সহায়তা করব।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে