‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণায়’ সোনালী ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকা অর্থায়ন
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৪৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’ এর সার্বিক উন্নয়নের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ৫০ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান ঢাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদের নিকট চেক হস্তান্তর করেন।
২০১৯ সনের ২৬ জুন সিনেট অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সাফল্যমণ্ডিত অর্জন ও কর্ম নিয়ে গবেষণার জন্য 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি' প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন সিনিয়র সাংবাদিক ও সিনেট সদস্য মনজুরুল আহসান বুলবুল। পরে গত বছরের ১৪ জুনে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন দেয়া হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুদানের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, আদর্শ, সংগ্রাম, ত্যাগ, দেশপ্রেম ও নেতৃত্বসহ সকল বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ৪র্থ-শিল্পবিপ্লব উপযোগী মানব সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে এই ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি’র সার্বিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি'র ডিরেক্টর ও ইউজিসি অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণার অনেক কিছুই রয়েছে। আমারা প্রথমত দুইটি লেকচার দিয়ে শুরু করেছি। ড. কামাল চৌধুরী দিয়েছেন 'নিউ ডিরেকশন এ্যান্ড রিসার্চ' শিরোনামে একটি, অপরটি দিয়েছেন ইনিস্টিটিশন অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে আট-দশটি প্রবন্ধ নিয়ে একটি বই বের করবো। এছাড়া প্রত্যেক বছর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যে লেখালেখি হচ্ছে, তা নিয়ে একটি অ্যানুয়ের বিবলিওগ্রাফি তৈরি করবো।
আতাউর রহমান প্রধান বলেন, অক্সফোর্ড গবেষণা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তারা কখনো একটি জাতি তৈরি করতে পারনি। কিন্তু ঢাবি পেরেছে একটি জাতি তৈরি করতে, একটি স্বাধীনতা এনে দিতে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাবি সিনেট সদস্য এস এম বাহালুল মজনুন উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সিনেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
