পাহাড় সমান অভিযোগ তদন্তে হাবিপ্রবিতে ইউজিসির তদন্তদল
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২১, ১৫:১৩
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের নানা অভিযোগ উঠেছে। এমন ৩০টির বেশি অভিযোগ তদন্তে হাবিপ্রবিতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।
সোমবার সকাল ১০টায় হাবিপ্রতিতে পৌঁছায় তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. আবু তাহের ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম শেখ।
গত ৮ মার্চ ইউজিসি’র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম শেখ এক পত্রের মাধ্যমে হাবিপ্রবি কতৃর্পক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছেন।
অভিযোগপত্রে সহযোগী সদস্য সচিব খালেদ হোসেন, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম, জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিংয়ের চেয়ারম্যান ড. আবদুল গাফফার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি)’র পরিচালক অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম, ড. বিধান চন্দ্র হালদার ও ড. শ্রীপতি শিকদার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং প্ল্যানিং এন্ড উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. ফজলুল হক, কন্ট্রোলার অধ্যাপক মিজানুর রহমান, প্রকৌশল শাখার চাঁদ আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পরিবহন শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহেদকেসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজ্জাদুল করিম নামে এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অভিযোগ করেন।
দুদক বরাবর অভিযোগপত্রে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি, শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরকারি টাকা আত্মসাৎ, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের অনিয়ম ও দুর্নীতি, শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পূর্ণবাসন, নির্মাণকাজে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা, মিথ্যা কাজের বিল দাখিল, গাড়ির মিথ্যা মেরামত দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতিসহ ৩০টিরও অধিক অনিয়মের কথা বলা হয়ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. ফজলুল হক বলেন, যেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম করা হচ্ছে, সেসব সত্য নয়। এর বেশিরভাগই মিথ্যা। এরপরও আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাবতীয় কাগজপত্রাদি দাখিল করবো।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে