ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঢাবি’র হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবি

‘গার্মেন্টসকর্মীরা মরছে না, শিক্ষার্থীরা কেন মরবে’

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২১, ১৯:০১  
আপডেট :
 ২৫ মে ২০২১, ১৯:০৩

‘গার্মেন্টসকর্মীরা মরছে না, শিক্ষার্থীরা কেন মরবে’
ছবি- প্রতিনিধি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে ২৯ মে’র পর আর ছুটি বৃদ্ধি না করে অনতিবিলম্বে ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার আহ্বান জানয় তারা।

মঙ্গলবার (২৫মে) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তারা। ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি উপস্থাপন করে। তাদের দাবিগুলো হলো: অবিলম্বে ক্যাম্পাস ও হল খুলে দিতে হবে, ২৯ মে’র পর ছুটি বৃদ্ধি করা যাবে না, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনতে এবং নিয়মিত মনিটরিংয়ে রাখতে হবে।

মানববন্ধনে ঢাবি সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা তাসনিম বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে এত দীর্ঘতম সময় ধরে কোনো দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। তাহলে কেন বাংলাদেশে এত সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হলো? স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি গার্মেন্টসকর্মীরা কাজ করতে পারেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা কেনো ক্লাস করতে পারবে না।

তিনি বলেন, গার্মেন্টসকর্মীরা সেখানে একজনও মারা গেলে না, সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে সচেতন হওয়ার পরও কিভাবে তারা করোনায় মারা যাবে? আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে চাই। আপনারা যদি অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দেন, হাফিজুরের মতো যত শিক্ষার্থীর লাশ পড়বে, এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের দিকে নজর দিন। কোমলমতি শিশুরা ভিডিও গেমসে পাবজি থেকে শুরু করে কার্টুনের প্রতি আশক্ত হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে যাচ্ছে।

বায়োমেট্রিক বিভাগের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জম হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। অনলাইন ক্লাসের নামে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনমূলক আচরণ করেছে। অনলাইনে ক্লাস করতে ডিভাইস ও ডেটাপ্যাক দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তারা কথা রাখেনি।

‘শিক্ষামন্ত্রী বারবার বন্ধের তারিখ পেছাচ্ছেন, কিন্তু দীর্ঘ ১৫ মাসেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা ইউজিসি মহামারীকালে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কোনো নীতিমালা প্রণয় করতে পারেনি। এটা তাদের চরম ব্যর্থতার। অপরদিকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জাতীয় সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে আছেন। তারা নিজেরাও একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেনি। অথচ দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সব কার্যক্রম রীতিমতো চালাচ্ছে।’

এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী ইলিয়াস হোসেন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রিদয় হোসেন, আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম নাফিসসহ আরো অনেকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত