সামুদ্রিক মাছের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার
শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২১, ২১:০৭
কক্সবাজারের সামুদ্রিক জলসীমা থেকে একটি সামুদ্রিক মাছের নতুন প্রজাতির আবিস্কার করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)-এর ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের একোয়াটিক বায়োরিসোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষকরা।
মঙ্গলবার মাছের প্রজাতি শনাক্তকরণের গবেষণা প্রবন্ধটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী জ্যুট্যাক্সা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রজাতিটি শনাক্ত করা হয় দেহের গঠন, বাহ্যিক আকৃতি এবং ডিএনএ বারকোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। প্রজাতিটির ইংরেজি নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশী গিটারফিশ’।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ফিশারিজ, একোয়াকালচার এবং মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডীন ড. কাজী আহসান হাবীব এবং সহযোগী হিসেবে ছিলেন শেকৃবি একোয়াটিক বায়োরিসোর্স রিসার্চ ল্যাবের গবেষনা সহকারী মো: জায়িদুল ইসলাম।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং এদের ডিএনএ বারকোডিং এ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য মাছটির প্রধান উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব তার পিএইচডি সুপারভাইজার কোরিয়ার সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. ইওনহোলী এর নামে মাছটির বৈজ্ঞানিক নামকরণ করেন ‘গুকোসটেগাস ইওনহোলী’।
গবেষক ড. আহসান হাবিব বলেন, মাছটি রাইনোবেটিফরমিস বর্গের, গুকোসটেগিডি পরিবারের এবং গুকোসটেগাস গণের একটি প্রজাতি। গুকোসটেগিডি পরিবারের প্রজাতিগুলোকে জায়ান্ট গিটারফিশ বলা হয়।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত জায়ান্ট গিটারফিশের ৮ টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। দুইটি প্রজাতি ছাড়া বাকি সকল গিটারফিশরা সামুদ্রিক লোনা পানিতে বসবাস করে তবে ২ টি প্রজাতি মাঝে মাঝে ঈষৎ লোনা পানিতে আসে। এরা দেখতে গিটারের মত হওয়ায় এদেরকে গিটারফিশ বলা হয়।
আইইউসিএন এর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবিতে প্রাপ্ত গিটারফিশরা মহাবিপন্ন। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গিটারফিশদের সংরক্ষরনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাথে নিয়ে এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। তা নাহলে গিটারফিশরা খুব বেশীদিন পরিবেশে টিকে থাকবে না।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর অর্থায়নে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ডিএনএ বারকোডিংয়ের মাধ্যমে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা জাতীয় মাছের প্রজাতি শনাক্তরন ও সংরক্ষণ পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণার সময় বাংলাদেশী গিটারফিশ প্রজাতিটি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস
