ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ঢাবি ক্লাবে রিজভী, তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২২, ১৯:২৭  
আপডেট :
 ২৪ জুন ২০২২, ২০:২৫

ঢাবি ক্লাবে রিজভী, তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর যাওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি তথ্যানুসন্ধান (ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং) কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাশকতার ষড়যন্ত্র প্রমাণ হলে কী ধনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বা প্রমাণ না পেলে কী ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা এখনই স্পষ্ট না। তদন্ত কমিটির সুপারি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সভাপতি ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক নেতা এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের আমন্ত্রণে সেখানে যান বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। এ সময় রিজভীর সঙ্গে স্ত্রীসহ কয়েকজন ছিলেন।

পরদিন রোববার ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজে রিজভীর প্রবেশের ছবি দিয়ে এ ঘটনাকে ‘গোপন বৈঠক’আখ্যা দেয়া হয়।

পোস্টে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘ক্লাবে মধ্যরাতের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছিল? বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে আর কারা ছিলেন?’এর পর থেকে বির্তকের শুরু। পরে গত সোমবার রাতে ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ডাকা হয়। বৈঠকে তথ্যানুসন্ধান (ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং) কমিটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

তদন্ত কমিটি গোপন বৈঠকের সংশ্লিষ্টতা পেলে কি সাজা হতে পারে তা এখনো স্পষ্ট না। এ ব্যাপারে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের নেতা আবদুর রহিম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ ঘটনায় জরুরি মিটিংয়ে মাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী কমিটি গঠিত হয়েছে। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে

গোপন বৈঠকের প্রমাণ পেলে কি ধরনের সাজা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অগ্রিম বলার মত কিছু না। তদন্ত কমিটিতে যারা আছে তারাই সুপারিশ করবে। সুপারিশ পাওয়ার পর পরবর্তী ফোরামে কী করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করা হবে।

গোপন বৈঠকের প্রমাণ না পেলে রিজভী আহমেদ কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে যেতে পারবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অগ্রিম মন্তব্য না করায় ভালো। আগে তদন্ত প্রতিবেদন পায় তারপর আপনাদের জানানো হবে।

ঘটনার পর থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্লাবের সভাপতি ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের নেতা ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ইউনিভার্সির ক্যাম্পাসে আড্ডা দিয়েছি। একটা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমরা সব বন্ধুবান্ধব এক জায়গা হয়েছিলাম। এর বাইরে কোনো কিছু হয়নি। আমি মনে করি আমরা কোনো ভুল করে নাই। এখন এ ঘটনা তারা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা তাদের ব্যাপার। তারা মুলত আমাদেরকে হয়রানি করতে চায়। পলিটিকাল জায়গা থেকে আমাদেরকে পেশার দিতে চায়।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্তাঙ্গন। সিসি টিভির আওতায় সবকিছু। এখানে বসে কি কেউ কখনো ষড়যন্ত্র করতে পারে। তারা সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজে। তারা ষড়যন্ত্র করে বলেই ষড়যন্ত্র খোঁজে। আমরা ষড়যন্ত্র জানিও না, বুঝিও না, করিও না।

তদন্ত কমিটির ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকার কী করছে তারা বিস্তারিত জানে। তাদের গোয়েন্দা বাহিনী কী করেছে তা আমি জানি না। আগে তদন্ত প্রতিবেদন দিক। দেখি কী জমা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বর্তামানে দেশের বাইরে আছে। তিনি দেশে ফিরে আসলে তার সাথে আমরা কথা বলার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত