ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বরগুনায় পুলিশের লাঠিচার্জে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২২, ২২:৪২

বরগুনায় পুলিশের লাঠিচার্জে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ

বরগুনায় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ ও নির্দেশদাতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর বিচার দাবি করে সমাবেশ করেছে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের একাংশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ’র ব্যানারে এই সমাবেশ পালিত হয়। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের শোক সভার বিরোধিতা করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রতিবাদ জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সম্প্রতি বুয়েটে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে জামায়াত-শিবির, হিজবুত তারহরিরসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন বিরোধিতা জানিয়ে বিক্ষোভ করে। বুয়েটে দ্বীপ ও সনির খুনিদের বিচার দাবিতে করা দেয়াল লিখন মুছে দেয়া হয়েছে। এগুলোই প্রমাণ করে যারা এসব করেছে তারা ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’না।

অন্যদিকে গতকাল বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অযৌক্তিক হামলা চালানোর মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সমাবেশে অবিলম্বে আবার বুয়েটে ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার দাবি জানান তারা।

সমাবেশ কয়েকটি দাবি তোলেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা।

দাবিগুলো হলো:

১.বুয়েটের পুনরায় ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে

২.বুয়েটে সবিক্ষোভকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে একাডেমিকভাবে বহিষ্কার করতে হবে এবং আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

৩.বরগুনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং

৪.দেশের যেখানে ২৪ ও ২৫ তম বিবিএসের পুলিশ কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে আছে তাদেরকে খতিয়ে দেখে বরখাস্ত করতে হবে।

সমাবেশে ছাত্রলীগের বর্তমান সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, আমার ভাইয়ের গায়ে যে আঘাত করা হয়েছে সেটি শুধু তাদেরকে না, বরং সারা বাংলাদেশের সকল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর এই আঘাত করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের এই বর্বরোচিত হামলার ধিক্কার জানাই। ২৪ এবং ২৫ তম বিসিএসে যারা ক্যাডার হয়েছে তারা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না এই বিসিএস সুষ্ঠু হয়েছে। এই বিসিএস কুখ্যাত তারেক জিয়ার বিসিএস। সেই বিসিএসে এই পুলিশ ‌অফিসার হয়েছে। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড পুনঃরায় যাচাই করে নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হোক।

সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, এই শোকের মাসে আমরা হারিয়েছি হাজার বছররের শ্রেষ্ঠ বাঙালিসহ তার পরিবারের সদস্যদের। শুধু ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা ও তার বোন বেঁচে যান। এই শোকের মাসে আলোচনায় এভাবে পুলিশের নির্যাতন সত্যিই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। সেখানে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে, ভবনের ভেতরে আটকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে মারতে হবে। আমরা এই ঘটনার সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানাই।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, বরগুনা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বলতে চাই, আপনারা কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাত দিয়ে যে সম্মেলন করেছেন সেটি যদি সত্যি হয় তাহলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এই সাফাই গাওয়ার জন্য জবাব দিতে হবে।

সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি চঞ্চল কর্মকার বলেন, আমরা দেখলাম বুয়েটে শোক সভায় জঙ্গি গোষ্ঠীরা বাঁধা দেয়ার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। সেখানে তারা ছাত্রলীগ ও বঙ্গবন্ধু বিরোধী ও উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। যে বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতি চলবে না সেই বুয়েট আমরা দেখতে চাই না। গতকাল সেই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীই বরগুনায় ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়েছে।

সংগঠনের বর্তমান উপ-সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্নী বলেন, এই শোক দিবস কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। এই শোক দিবসের যারা বিরোধিতা করে তাদের জন্ম নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। এরপর বরগুনায় বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওই এসপির বিচার দাবি করছি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক সাকিব হাসান সুইম, সাবেক সহ-সভাপতি শাহ ইমরান সোহাগ, সাবেক উপসম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, বর্তমান সহসম্পাদক এস এম মামুন, আন্তর্জাতিক উপ-সম্পাদক ইমদাদ হোসেন সোহাগ, সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামসহ সাবেক বর্তমান মিলিয়ে ‌অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত