পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন জাবি উপাচার্য

উপাচার্যের পদত্যাগসহ ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

কুবিতে এবার আরেক হাউজ টিউটরের পদত্যাগ 

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা আন্দোলনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই আন্দোলন।

এদিকে আন্দোলন ও পদত্যাগের বিষয়ে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘পদত্যাগ করতে হয়, তাহলে জোরালো ঘটনা লাগবে, জোরালো প্রমাণ লাগবে।’

তিনি বলেন, ‘এ আন্দোলনের পেছনে হয়তো এক বা দুই পার্সেন্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী রয়েছে। এরা কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। এরা হঠাৎ কতগুলো মানুষ জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে নানাভাবে অস্থির করে তুলেছে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমার যদি পদত্যাগ করতে হয়, তাহলে জোরালো ঘটনা লাগবে, জোরালো প্রমাণ লাগবে। সরকার শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন যে সাত তারিখের মধ্যে আপনারা যুক্তিসহ, অকাট্য প্রমাণসহ, অভিযোগ দিন। আমি ব্যবস্থা নেবো। প্রয়োজনে আমরা তদন্ত করবো, তখন যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন আমরা ব্যবস্থা নেবো। এত বড় কথা বলার পরেও তারা অভিযোগ-পত্র তৈরির বদলে এখানে বসে আন্দোলন করছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীরা এসে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সংখ্যা গরিষ্ঠ সেখানে ছাত্রলীগ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না অথচ বাইরের লোক এসে রাজনীতি করে যাবে এটা কতটুকু যৌক্তিক সেটাও চিন্তা করতে হবে।’

উল্লেখ্য, আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে হল ছাড়তে বলা হয়। তবে হল ছাড়ার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ছাত্র শিক্ষকদের একটি অংশ সেখানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই