লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন
প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২২, ০৭:৫৭

পর্তুগালের লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন নিজস্ব তিনতলা চ্যান্সারি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
|আরো খবর
শুক্রবার নতুন ভবন উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, এই ভবনটি শুধুমাত্র একটি নির্মাণ বা স্থাপনা নয়, এটি পর্তুগালে আমাদের বন্ধুদের কাছে আমাদের এই বার্তা পৌঁছে দেয় যে, আমরা আমাদের অভিন্ন ইতিহাসের মূল্য দেই, আমরা বর্তমান সময়ের মানুষে মানুষের যোগাযোগ সুবিধাকে লালন করি এবং এর মাধ্যমেই আমরা অনেক আশাবাদী ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. মোমেন বলেন, চ্যান্সারি ভবন পর্তুগালে বর্তমান ক্রমরূপান্তরমান বাংলাদেশের উপস্থিতির একটি প্রতীক, যা এর জাতীয় উন্নয়নের আকাক্সক্ষা পূরণে অর্থবহ কূটনীতিকে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এর বৈশ্বিক পদাঙ্ককে শক্তিশালী করতে প্রস্তুত। উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও ফিতা কাটার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারি ভবনের দেয়ালে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত আলভারো মেন্ডোনোয়া ই মৌরা। মৌরা তার বক্তব্যে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার এবং পর্তুগালে বসবাসরত সকল প্রবাসীদের অভিনন্দন জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, লিসবনে স্থায়ী চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত হবে।
স্বাগত বক্তব্যে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বলেন, স্থায়ী চ্যান্সারী ভবনটি প্রকৃতপক্ষে বহুদিনের চাহিদার ফসল, কারন দূতাবাসের কাজ নানাভাবে বহুগূণ বেড়ে গেছে। কনস্যুলার কার্যক্রমও বেড়ে গেছে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পাবলিক কূটনীতির কারণে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল পর্বের পর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যান্সারির বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন। তিনি ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং কনস্যুলার সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পর্তুগালে বাংলাদেশের নিজস্ব মালিকানাধীন দূতাবাস হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আনন্দ কলতানে মুখরিত ছিল চ্যান্সারির প্রবেশদ্বার। চ্যান্সারী প্রাঙ্গণের সাজসজ্জায় ছিল উৎসবের আমেজ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম