ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে নির্মাণ হচ্ছে না মুরাদের স্বপ্নের সিনেমা

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৩  
আপডেট :
 ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১৫

পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে নির্মাণ হচ্ছে না মুরাদের স্বপ্নের সিনেমা

দীর্ঘ অনেক ধরেই অভিনয়ের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন আরমান পারভেজ মুরাদ। একাধারে তিনি একজন অভিনেতা, মঞ্চ অভিনেতা, আবৃত্তিশিল্পী। সেইসাথে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও কন্ঠ দিয়ে থাকেন তিনি। বুহু গুণে গুণান্বিত এই অভিনেতা ২০০৮ সালে কাজী মোর্শেদ পরিচালিত ‘ঘানি’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

অভিনয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলেও নির্মাণ নিয়ে তার মনে বিরাট স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখেন চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। গল্প থেকে চিত্রনাট্য লেখাও শেষ করে রেখেছেন। কিন্তু প্রযোজক না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারছেন না। তবুও হাল ছাড়েন নি, চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজের স্বপ্নের সিনেমাটা বানাতে।

আরমান পারভেজ মুরাদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, নির্মাণের চেষ্টা তো অনেক দিন থেকেই করে যাচ্ছি। সত্যি কথা বলতে পৃষ্ঠপোষকতার কারণে করতে পারছি না। যে সহযোগীতাটা পাওয়া দরকার বা রতনে রতন চেনার যে বিষয়টা সেটা পাচ্ছি না। সেটা যদি হয় তাহলে আমি আমার স্বপ্নের সিনেমাটা নির্মাণ করতে চাই। শাহরিয়ার কবিরের লেখা শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘নিকোলাস রোজারিওর ছেলেরা’। গল্পের চিত্রনাট্য লিখা শেষ হয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ার কারণে সিনেমার কাজ শুরু করতে পারছি না।

অনেক দিন থেকেই তো অভিনয় করছি, নির্মাণের স্বপ্নটা বুনেছি নিজের মধ্যে। সিনেমা নির্মাণ করাটা আমার স্বপ্ন। এই ছবিটা আমার স্বপ্নের।

আমি যেহেতু ছোটবেলা স্কাউড, রেড ক্রিসেন্ট এগুলো করেছি। এগুলো দেখে আমি যা শিখেছি, এগুলো মানুষের মধ্যে যখন থাকে তখন সে অনেক চৌকশ হয়, ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ হতে সহায়তা করে। তারা কতটা সৎ, তারা কিভাবে দেশকে শত্রুমুক্ত করছে, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করছে। গল্পে এমনটাই দেখানো হয়েছে।

আমার গুরু এস এম সুলতান শিশুতোষ বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি সবসময় আমাকে একটা কথা বলতেন, শিশুরা ছবি আঁকতে শিখলে তারা বড় হয়ে ভালো মানুষ হবে। যে ফুল-ফলের ছবি আঁকবে তারা বড় হয়ে কখনও নষ্ট হবে না। তাই আমি আমার প্রথম সিনেমাটা শিশুদের জন্যই নির্মাণ করতে চাই।

মনে কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, নাটক-সিনেমা দেখে অনেক কিছু শিখার আছে। এখন অনেক সিনেমাই নির্মাণ হচ্ছে। কমার্শিয়াল সিনেমা বলতে সিনেমাতে অনেক কিছুই দেখানো হচ্ছে। নায়ক-নায়িকা নির্ভর সিনেমাই বেশি হচ্ছে। এসব ছবির জন্য পৃষ্ঠপোষকতার অভাব হয় না। অথচ আমরা যখন ভিন্ন ভাবনা নিয়ে কিছু করতে চাই তখন কোন প্রযোজক পাইনা। কষ্ট একটাই ভালোর সাথে থেকেও, সারাদিন ভালো করতে চাই মুখে বলা মানুষগুলোও কিন্তু দিনশেষে ভালোর সাপোর্ট করছে না। করলে ইন্ডাস্ট্রির ঠিকই উন্নতি হতো, ভালো কিছু হতো।

মুরাদ রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘে তিনি টানা ৯ বছর কাজ করেছেন। এরপর ঢাকায় এসে থিয়েটার আরামবাগে যুক্ত হন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এ পর্যন্ত ১০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আর অভিনয় করে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত