ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

অভিনয়ের জাদুকরকে হারানোর ৮ বছর

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৪১  
আপডেট :
 ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:২১

অভিনয়ের জাদুকরকে হারানোর ৮ বছর

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। মঞ্চ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখলেও অভিনয়ের সর্বস্তরেই বিচরণ করেন এই গুণী অভিনেতা। আজ চারদিকে রঙ বেরঙের ছড়াছড়ি হলেও এইসব রঙের মাঝে নেই একজন হুমায়ুন ফরীদি। কোটি কোটি ভক্তদের ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। এখনো মানুষের হৃদয়ে অমলিন হয়ে আছেন তিনি। আজ তার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী তাকে স্মরণ করেছেন ভালোবাসার মানুষেরা।

যে কোনো শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করে থাকেন। চলচ্চিত্র চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জয় চৌধুরী জানালেন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতি কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করছে। বিগত বছরে এই মাসে যেসব শিল্পীরা না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে হবে এই আয়োজন।

অভিনয়ের জাদুকর হুমায়ুন ফরীদি ‘৯০-এর দশকে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘আসামী বধূ’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’, ‘প্রবেশ নিষেধ’, ‘ভণ্ড’, ‘অধিকার চাই’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘ব্যাচেলর’, ‘শ্যামল ছায়া’ ও ‘মেহেরজান’ প্রভৃতি।

সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করে। জীবন্ত ফরীদি তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতি নিজের হাতে না পেলেও, ২০১৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। ব্যক্তি জীবনে সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিঃসঙ্গই ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মারা যান হুমায়ুন ফরীদি।

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত