ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

তাপসের বহু ঘটনার সাক্ষী রচনা ব্যানার্জি

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:১৭

তাপসের বহু ঘটনার সাক্ষী রচনা ব্যানার্জি

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল। তাঁর মৃত্যুতে কলকাতা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নেমেছে শোকের ছায়া। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে তাঁর সহকর্মীরা শোক প্রকাশ করছেন।

তাপসের মৃত্যুতে কেঁদেই ফেললেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। ‘দুরন্ত প্রেম’ ছবিতে তাপসের নায়িকা ছিলেন রচনা। এমন খব্র শুনে নিজেকে সামলে নিতে পারেন নি এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, এর থেকে খারাপ খবর আর কিছু হতে পারে না। সেই ’৯৪ সাল থেকে যোগাযোগ। আমার প্রথম ছবির হিরো। সেখান থেকে শুরু। আমি এখনও ভাবতে পারছি না তাপস দা নেই।

অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তাপসের সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না বলে জানান রচনা। যোগাযোগটাও কম ছিল বলে জানান। তিনি বলেন, ‘প্রায় সময়ই বলত বাড়ি আয়। আমি নন্দিনী দি, লাবণী সরকার, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আমরা একটা পরিবারের মতো ছিলাম। একসঙ্গে কত গল্প কত দিন-রাত কাটিয়েছে। সেগুলোই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে আজ। শেষের দিকে এসে পুরনো মানুষদের দেখতে চাইত বেশি। পুরনো কথা বলত। যাব যাব করে যাওয়া হলো না বলে আরও খারাপ লাগছে আজ।’

বার বার ফিরে যাচ্ছিলেন পুরনো দিনের কথায়। প্রথম দিনের ফ্লোর থেকে শুরু করে কর্মজীবনের নানা ঘটনার সাক্ষী, সহযোগী তাপস পালের কথাই মনে পড়ছে তাঁর।

যোগ করে তিনি আরও বলেন, কখনও বুঝতে দেননি একজন অতো বড় মাপের অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করছি। সম্পর্ককে সহজ করে নিতেন বলে অভিনয়টাও অনায়সে বেরিয়ে আসত। আমার কাছে মনে হয়, ‘উত্তমকুমারের পর বাংলা ছবিতে অন্যতম সেরা অভিনেতা তাপসদা। প্রসেনজিৎ নিজেই বলে তাপস পাল অনবদ্য অভিনেতা।’

তাপস পালের অভিনয় সত্তার নানা দিকের কথা প্রকাশ করে রচনা বললেন, ‘বাংলায় এমন কোনও নায়িকা নেই যাঁর সঙ্গে তাপসদা অভিনয় করেননি। ভুল জীবনে প্রত্যেক মানুষ করে। এ নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে মানুষ তাপস পাল এক কথায় অসাধারণ। সাম্প্রতিক অতীতে তো আর ওর সঙ্গে ফ্লোরে দেখা হতো না। তবুও খুব ভাল যোগাযোগ ছিল। কাজের বাইরে সম্পর্ক তৈরি করা, সঙ্গে থাকার মানুষ ছিলেন তাপসদা। খুব কষ্ট হচ্ছে একে একে কাছের মানুষ সবাই চলে যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন তাপস পাল। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারি শহরতলী বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। সোমবার রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে মঙ্গলবার ভোরে ৩টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত