১৮তম জন্মদিবসে নাট্যব্যক্তিত্ব
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৫৬ আপডেট : ০১ মার্চ ২০২০, ১৩:৪৬
শোবিজ অঙ্গনের এক অন্যতম নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। যিনি সবসময় স্বপ্ন দেখেন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আজ এই গুণী শিল্পীর জন্মদিন। জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই নাট্যজন। ৭২ বছর বয়সে পা রাখলেও আজ তার ১৮তম জন্মদিন। ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করায় প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর আসে তার জন্মদিন। সে হিসাবে এবার তার ১৮তম জন্মদিবস।
গুণী এই নাট্যজনের জন্মদিন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ‘দ্রোহ দাহ স্বপ্নের নাট্য আয়োজন’ শিরোনামের উৎসব। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত ছয় দিনব্যাপী এ উৎসবে মামুনুর রশীদ রচিত পাঁচটি নাটকের মঞ্চায়ন হবে। এছাড়াও সংগীত, নৃত্য, সেমিনার, প্রদর্শনী, গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, সংবর্ধনা ও থিয়েটার আড্ডা হচ্ছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় নাট্যশালায় মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় আরণ্যক নাট্যদলের নতুন প্রযোজনা ‘ফেসবুক’-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে। ১ মার্চ একই নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে।
২ মার্চ জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়িত হবে মামুনুর রশীদের রচনা ও ফয়েজ জহিরের নির্দেশনায় বাঙলা থিয়েটারের প্রযোজনা ‘চে’র সাইকেল’। ৩ মার্চ জাতীয় নাট্যশালায় মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় ‘সংক্রান্তি’ নাটকের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপনী হবে।
মামুনুর রশীদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃৎ তিনি।
জন্মদিন নিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘চার বছর পরপর জন্মদিন আসে আমার জীবনে। চার বছর জন্মদিনের আনন্দ না পাওয়ার যে আক্ষেপ সেটি অনন্য হয়ে আসে যখন জন্মদিন পাই। আপনাদের এত ভালোবাসার যোগ্য কি না, আমি জানি না। দোয়া করবেন, সবসময় যেন আপনাদের এই ভালোবাসা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে যেতে পারি।’
তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘খুব মজা পাই যখন দেখি বৃদ্ধদের তালিকায় চলে গেলেও জন্মদিনে আমি এখনও তরুণ। বয়স আমার ৭২, কিন্তু জন্মদিন উদযাপিত হচ্ছে মাত্র ১৮তম।’
১৯৬৭ সালে মামুনুর রশীদ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে।
আইএন