ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মুগ্ধতায় ক্ষুদে গানরাজের অনন্যা

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২০, ১৫:২৮

মুগ্ধতায় ক্ষুদে গানরাজের অনন্যা

গানে গানে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী অনন্যা আচার্য্য। মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ দিয়ে ২০০৮ সালে পরিচিত পান এই সুকণ্ঠি গায়িকা। একের পর এক গান দিয়ে দর্শক মন জয় করে চলেছেন। অডিও, স্টেজ শো, টেলিভিশন লাইভ, প্লেব্যাক সহ সঙ্গীতের সব শাখাতেই এখন তার সরব উপস্থিতি।

সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘অল্প বয়স’ গানটি। অনন্যার কণ্ঠে এই শ্রোতামহলে বেশ সাড়া ফেলেছে। অসাধারণ গায়কীর জন্য এরইমধ্যে তার গানের গুরু কনকচাঁপা ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন। শুধু তাই নয়, বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরও গানে হয়েছেন মুগ্ধ, করেছেন প্রশংসা। জেকে মজলিসের ফিচারিং-এ গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন সঞ্জিত আচার্য্য।

গানটির নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অনন্যা। এমন প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত অনন্যা বলেন, ‘সবার কাছে একটু একটু করে গানটির জন্য যেভাবে সাড়া পাচ্ছি তাতে সত্যিই মুগ্ধ হচ্ছি। আমার গান সবার ভালো লাগায় পরিণত হচ্ছে এটাই আসলে অনেক ভালো লাগার, সেসাথে তৃপ্তিরও। ভালো গান করে দর্শক মনে নিজেকে ঠাই করে নিতে চাই।’

একক গানের পাশাপাশি প্লেব্যাকেও রেখেছেন নিজ কণ্ঠের ছাপ। অরুণ চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়াবতী’ চলচ্চিত্রে পাঁচটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই তরুণী। একজন উদীয়মান সঙ্গীত তারকা হিসেবে সত্যিই একটি অনন্য রেকর্ড। চলচ্চিত্রের বাইরে নাটকের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ‘ইচ্ছে ঘুড়ি’ নাটকে ‘কেউ একজন’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে বেশ সাড়াও পান।

২০০৬ সালে প্রথম শ্রেনীতে পড়াকালীন সময়ে জাতীয় শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় ছড়াগানে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন অনন্যা। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালেও একই ভাবে স্বর্ণপদক পান। এরপর বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু কিশোর মেলায় দুইটি বিষয়ে প্রথম হয়ে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার স্বর্ণপদক অর্জন, চট্টগ্রাম আর্যসংগীত প্রতিযোগিতায় ৫ টি বিষয়ে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক অর্জন, শাপলা কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে স্বর্ণ পদক অর্জন করেন। এছাড়াও আরশীনগর সংস্থা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ৩টি বিষয়ে প্রথম হয়ে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার স্বর্ণপদক লাভ। পরের বছর ২০০৮ সালে মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজে সেরা ১৬ তে স্থান করে নেন। একই প্রতিযোগিতায় পরের বার ২০০৯ সালে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন অনন্যা। ২০১১ সালে শেখ রাসেল প্রতিযোগিতায় ৬ টি বিষয়ে প্রথম হয়ে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার লাভ করেন। গান ছাড়াও নাচ, চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তিতে অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে তার সাফল্য ও স্বীকৃতির ঝুলিতে।

সঙ্গীতে অনন্যার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তার পরিবার। বাবা-মায়ের কাছেই তার গানের হাতেখড়ি হয়। এরপর গানের তালিম নেন প্রয়াত শীতল ঘোষালের কাছে। এরপর সঞ্জীব দে, অনীল কুমার সাহা, অসিত দে ও পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (ক্ল্যাসিক্যাল), ফেরদৌস আরা (সুরসপ্তক), বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি (নজরুল সঙ্গীত), ফরিদা পারভীন (লালন গীতি), মইনুল ইসলাম খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (আধুনিক) কাছ থেকেও তালিম নেন। এছাড়াও ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনে নজরুল সঙ্গীত শিখেছেন।

অন্তর জ্বলে, রঙের দুনিয়া, মন পাবনের ঘোড়া, চাটগা এক্সপ্রেস ও স্বর্ণগুটি পাঁচটি মিক্সড অ্যালবামে গান করেছেন অনন্যা। এছাড়াও মন পাবনের ঘোড়া ও ঈদ নামিলো কার দুটি একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন।

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত