ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

গার্মেন্টস বন্ধ না করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনন্তের অনুরোধ

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৫:৫১  
আপডেট :
 ২৭ মার্চ ২০২০, ১৬:০৬

গার্মেন্টস বন্ধ না করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনন্তের অনুরোধ

করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত বিশ্বব্যাপী মানুষ। প্রতিনিয়তই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে হাজারও মানুষ। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ এর কাছাকাছি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগিয়ে বিশ্বের অত্যাধুনিক দেশগুলোও আজ নিরুপায়। সমগ্র বিশ্বেই এখন থমথমে অবস্থা বিরাজমান। পৃথিবীর এই রূপ শতবছরে আর কেউ দেখেনি।

মহামারী করোনার প্রকোপ ছড়িয়েছে বাংলাদেশেও। ইতিমধ্যেই দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশী অসহনীয় এবং দূর্বিষহ দিন পার করছে সাধারণ মানুষ ও দিনমজুররা। উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের কে পড়তে হচ্ছে অর্থসঙ্কটে। যার জন্য পরিবারে নেমে আসছে ভয়াবহ দূরবস্থা। তাদের পাশেই দাড়িয়েছে কিছু মহৎপ্রাণ মানুষ ও সংগঠন। নিজেদের সাধ্যমত দিয়ে যাচ্ছেন দৈনন্দিন খাবার, করোনা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক উপকরণ।

এমনই একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়ে হাজির হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল। পাশে দাড়িয়েছেন অসহায় শিল্পীদের।

তিনি জানান, বেকার ও অসচ্ছল ২২০ জন শিল্পীর ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, মাস্ক ও হ্যান্ড ওয়াশ আমার ফ্যাক্টরির গাড়ি ও লোকজন দিয়ে আজকে পৌঁছে দিচ্ছি। মিশা সওদাগর এবং জায়েদ খানের সার্বিক সহযোগিতায় আজকে সেগুলো সবার ঘরে পৌঁছে যাবে । গতকালই দেওয়ার কথা ছিল কিন্ত লকডাউনের কারণে সেটা পারিনি তখন।

এছাড়াও তিনি একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন, অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান,গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান গুলো যেন বন্ধ করে না দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সবধরনের ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। সেইফটি ও সিকিউরিটি মেইনটেইন করা হচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশগুলোর মতো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে আমরা মারাত্বকভাবে অর্থনৈতিক হুমকির মুখে পড়ে যাব। কারণ আমাদের দেশের একটা বিরাট অঙ্কের অর্থনৈতিক সলভেন্সি আসে গার্মেন্টস এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে। তাই তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে বরং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে চালু থাকুক প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনীতির চাকা।

শেষ খবর পাওয়া অব্দি এখন পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে দাড়িয়েঁছে ৪৮ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত