ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফেঁসে গেছি, ফেরাটা মুশকিল হয়ে পড়েছে: সিয়াম

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২০, ১৭:৩২  
আপডেট :
 ২৮ মার্চ ২০২০, ১৯:০৫

ফেঁসে গেছি, ফেরাটা মুশকিল হয়ে পড়েছে: সিয়াম

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশেও আঘাত হেনেছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন ১৫ জন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সকল প্রকার শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে অফিস-কলকারখানা, সিনেমা হলও।

কিন্তু সে সিদ্ধান্ত না মেনে চলছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমার শুটিং। নিষেধজ্ঞা অমান্য করেই সুন্দরবন এলাকায় শুটিং করছেন ছবিটির পরিচালক আবু রায়হান, এমন শিরোনামেই খবর আসে বেশ কিছু গণমাধ্যমে। গত ১৪ মার্চ থেকে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন সিয়াম আহমেদ, পরীমনি, তানভীর। তাদের সঙ্গে ছবিটিতে ১৪জন শিশুশিল্পীও শুটিং করছেন।

তবে তাঁরা ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে ফিরতে পারছেন না বলে আজ শনিবার দুপুরে জানান ছবিটির নায়ক সিয়াম। তিনি বলেন, সত্যি বলতে আমরাও খুব বাজে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। দেশের এখন যা অবস্থা এমন না যা এসব তোয়াক্কা করে আমরা শুটিং করছি! বলতে গেলে আমরা ফেঁসে গেছি।

তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতিতে সবাই যেমন বাসায় বন্দি রয়েছে তেমনি আমরাও লঞ্চে বন্দী রয়েছি। আমরা ফেঁসে গেছি। বাসায় যেতে পারছি না কারণ সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সবাইকে যেখানে বাসায় থাকতে বলা হচ্ছে, সেখানে আমরা অনেকদিন থেকেই বাইরে। এমতাবস্থায় বাসায় ফিরলেও সেটা কতটা সেইফ, এটাও প্রশ্নাতীত! অনেকেই অনেক কথা বলেছেন দেখলাম। এমন না যে আমরা ইচ্ছা করেই এখনও শুটিং করছি। বলতে গেলে আমরা আটকে গিয়েছি। ফেরার কোন উপায় নেই।

আমরা এখনও খুলনার দিকেই আছি। তারপরও ফেরার চেষ্টা করছি। এখন নৌ-পথও বন্ধ, ফেরাটা খুব মুশকিল। গভমেন্টের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে, যদি কোন ব্যবস্থা হয় তাহলে আমরা শিগগিরই ফিরবো।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খানিকটা চিন্তিত এ নায়ক আরও বলেন, আমরা এখানে যারা শুরু থেকেই ছিলাম তারাই আছি। নতুন করে বাইরে থেকে কেউ আসেনি এবং এখান থেকে কেউ বেরও হয়নি। একদিকে আমরা কিছুটা সেইফ আছি বলা যায়। তারপরও নিজেরা সচেতন থেকে বারবার নিজেদের পরিচ্ছন্ন রাখছি।

এই মুহূর্তে আমরা যদিও বাসায় ফিরি তাহলেও কিছুটা চিন্তা থাকেই। আল্লাহ না করুক, আমার মাঝে যদি এরকম কিছু থাকে তাহলে সেটা থেকে আমার পরিবারও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। যদিও এমনটা নেই, আমরা ১৪ দিন ধরে শুধু এই লঞ্চের মধ্যেই রয়েছি। তারপরও সতর্ক থাকছি প্রতি মুহূর্তে।

ছবিটির আরেক অভিনয়শিল্পী আবু হুরায়রা তানভীর বলেন, আমরা যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করছি এবং সেইফ থাকছি। আমরা যেহেতু করোনা ব্যক্তির সংস্পর্শে যাই নি কেউ বা বাইরের কেউ আমাদের এখানে আসে নি আমরা নিরাপদেই আছি বলা যায়। আমরা সারাক্ষণ লঞ্চেই থাকছি। স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি নিয়মিত। এক কথায় বলতে গেলে যতটুকু সেইফটি থাকা যায়, সেভাবেই আছি এবং থাকছি। আমরা অন্য কারও সঙ্গে মিশছি না। সবাই যারা এখানে আছি কারও এ রোগের সংক্রামক নেই। বাচ্চারাও বেশ নিরাপদ আছে এখানে।

নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকেই আমরা বারবার আলোচনা করছি, আমাদের করণীয় কি! এই মুহূর্তে শুটিং বন্ধ করে ঢাকায় ফেরাটা আমাদের জন্য কতটা সেইফ! আর আমরা শুটিংকে খুব প্রাধান্য দিচ্ছি না, সেইফ থাকছি। শুটিং যা করছি আসলে অনিচ্ছাকৃতভাবেই।

সরকারি অনুদানে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক জাফর ইকবালের ‘রাতুলের দিন রাতুলের রাত’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। ৫০ জনের বড় একটি ইউনিট নিয়ে সুন্দরবনে চলছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির শুটিং। গত ১৪ মার্চ সদরঘাট থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে লঞ্চটি যাত্রা শুরু করে।

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত