দুস্থদের সহায়তায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সঙ্গে বিদ্যানন্দ

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্হবির হয়ে আছে সবকিছু। আর এতে করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসহায়, দুস্হ ও দিনমজুররা।

সরকারের পাশাপাশি এমন দুর্যোগে এ অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনসহ শোবিজের তারকারা। এবার এমন দুর্যোগ মোকাবেলা করতে অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র ধারার সিনেমা ও নাট্য নির্মাতারা। শুধু বাংলাদেশই নয় এতে যুক্ত রয়েছেন দেশের বাইরের নির্মাতারাও।

বাড়িতে ঢুকতে ভয় পান মিথিলা!

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় 'ফিল্ম ফর হিউমিনিটি' নামে একটি সংগঠন তৈরি করা হয়েছে আর এ আয়োজনে সঙ্গী হিসেবে থাকছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন 'বিদ্যানন্দ'। পুরো আয়োজনটি করা হবে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে অনলাইন চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে। সেই চলচ্চিত্রগুলোর প্রদর্শন হবে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম ভিমিয়োতে। সেখানে অন ডিমান্ড রেন্টাল সিস্টেমে একজন দর্শক পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে চলচ্চিত্র গুলো দেখতে পাবেন। চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত পুরো অর্থ দেয়া হবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে। বিদ্যানন্দের মাধ্যমে অসহায় মানুষ ও প্রাণীদের কাছে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ আয়োজন।

প্রত্যেক নির্মাতাকে ভিমিয়ো থেকে প্রাপ্ত অর্থের পুরো হিসেব এবং সেই অর্থ কোথায় বা কোন প্রক্রিয়ায় অসহায় মানুষ ও প্রাণীদের প্রদান করা হচ্ছে তার অফিসিয়াল ডকুমেন্টস ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ইভেন্ট গ্রুপে প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে নির্মাতা ইমেল হক বলেন, মানবিক বিপর্যয়ে চলচ্চিত্রই হোক আমাদের শক্তির উৎস। মানুষের জন্যই যেই চলচ্চিত্র, মানুষের দুর্দিনে সেই চলচ্চিত্রই দাঁড়াবে মানুষের পাশে।

চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই আমরা এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই। এরজন্যই এমন চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। এখানে বাংলাদেশ ছাড়াও কলকাতা, ভারত, বার্সেলোনার কিছু চলচ্চিত্র এরইমধ্যে আমরা পেয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা আরও হয়তো পাবো।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা মানুষদের মাঝে এই সময়ে সুষ্ঠুভাবে বিজ্ঞ নই তাই এই আয়োজনে আমাদের সঙ্গে থাকছে বিদ্যানন্দ গ্রুপ। তারা খুবই আস্হাভাজন এবং যথেষ্ঠ যত্ন সহকারে খুব সুন্দরভাবে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে এ কাজটি করতে খুবই পটিয়সী তাই তাদের মাধ্যমেই এ কাজটি করা হবে। ভিমিয়ো প্লাটফর্মে প্রতিটি ছবির নিচে বিদ্যানন্দের একাউন্ট নাম্বার দেওয়া থাকবে এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সব টাকা তাদের একাউন্টেই জমা হবে। যে কেউ চাইলে সে একাউন্টে সরাসরিও ডোনেট করতে পারবেন। এখান থেকে প্রাপ্ত আয়ের পুরোটাই নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এখন চলচ্চিত্র সংগ্রহ চলছে এবং সেটা চলবে ১০ মে পর্যন্ত। প্রদর্শনী শুরু ১ মে থেকে এবং তা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।

এরইমধ্যে দেশের আলোচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও দেশের নবীন নির্মাতাসহ দেশ বিদেশের প্রায় ২৫ টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে প্রদর্শনীর জন্য। প্রদর্শনীর শেষ দিন নির্মাতাদের কাছ থেকে পাওয়া ছবি ভিমিয়ো ও আয়োজকদের কাছ থেকে পার্মানেন্টলি ডিলিট করে দেয়া হবে ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন