ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

টিকটক নিয়ে মন্তব্য করে আবারও বিতর্কের মুখে নুসরাত-মিমি

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২০, ১২:৪৯

টিকটক নিয়ে মন্তব্য করে আবারও বিতর্কের মুখে নুসরাত-মিমি

৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরের দিনই বন্ধ হয়ে গেল ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ টিকটক। অ্যাপ খুললেই ভারতে এই অ্যাপ ব্লক সংক্রান্ত মেসেজ ভেসে উঠছে স্ক্রিনে। মঙ্গলবার থেকেই প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্টোর খুললেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

খুব কম সময়ে ভারতবাসীর মনে জায়গা করে নেওয়া ভিডিওঁ শেয়ারিং এই অ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তারকাদের মধ্যেও। টলিপাড়ায় যে সমস্ত সেলেব এই অ্যাপের প্রেমে পড়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহান। ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল টিকটকে জয়েন করেন নুসরাত। তাঁর আগুন ঝরানো নাচে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ফলোয়ারের সংখ্যা। গতকাল অবধি নুসরতের টিকটকে অনুরাগীর সংখ্যা ছিল ১৪ লক্ষেরও বেশি। লাইকসের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লক্ষ।

টিকটক ব্যান হওয়া নিয়ে কী বলছেন তিনি? নুসরাতের কথায়, ‘আমার কাছে টিকটক আমার ফ্যানদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটা মাধ্যম মাত্র। যদি দেশের স্বার্থে এই অ্যাপ ব্যান করা হয় সে ক্ষেত্রে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

তবে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন নুসরত। ‘ভারতে যে যে চিনা সংস্থা ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের কী করা হবে? প্রধানমন্ত্রীর চিন সফর থেকে কী পেয়েছি আমরা?’ নুসরত বলছেন, এই সবের উত্তর তিনি আজও পাননি। এখানেই থামেননি তিনি। তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘যে সমস্ত মানুষ এই দেশে চিনা দ্রব্য আমদানি-রফতানি করেন তাঁদের কী হবে? এই দুঃসময়ে কি তাঁরা কাজ হারাবেন?’

কিছু দিন আগে টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন নুসরাত। সেখানেই হটপ্যান্ট এবং ক্রপটপে #স্যাভেজ চ্যালেঞ্জে অংশ নেন তিনি। শুধু তাই নয়, একই চ্যালেঞ্জ নিতে ট্যাগ করেন মিমি চক্রবর্তী এবং শ্রাবন্তীকেও। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। কমেন্ট সেকশনে বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই নুসরতকে সরাসরি উল্লেখ করে বলেন, “টিকটক করার সময় অনেক আছে ম্যাডাম। এ বার একটু মানুষের পাশে দাঁড়ান।” যদিও বিতর্কের মাঝেই ৫ লক্ষ ১১ হাজারের বেশি মানুষ দেখে ফেলেন নুসরতের সেই টিকটক নাচ। ফেসবুক, ইউটিউব-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নাচ এখন ভাইরাল।

এখানেই শেষ নয়। লকডাউন চলাকালীন স্বল্প পোশাকে টিকটক ভিডিও পোস্ট করে নেটাগরিকদের রোষের মুখে পড়েন তিনি। বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তাঁর কেন্দ্র বসিরহাটের অন্তর্গত বাদুড়িয়ায় দিন কয়েক আগে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে— সেই পরিস্থিতিতে কী করে নিশ্চিন্তে টিকটক ভিডিয়ও বানাতে পারেন তিনি? তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন নেটাগরিকদের একাংশ। নুসরাত অবশ্য এ সব নিয়ে মাথা ঘামাননি কোনও দিন। তিনি টিকটকে ভক্তদের সঙ্গে নিজের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন।

নুসরতের মতো অতটা সক্রিয় না হলেও আর এক সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও মাঝেমাঝেই টিকটকে পোস্ট করতেন ভিডিও। টিকটক ব্যান নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনিও। যদিও টিকটক থাকা বা না-থাকা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নন তিনি। মিমি বলছেন: ‘আমি নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। আমি এক জন পারফর্মার। আমার কাছে সব প্ল্যাটফর্মই সমান। তাই মাঝে মাঝে টিকটকে ভিডিয়ো পোস্ট করতাম। কাল যদি আরও চারটে অ্যাপ বন্ধ হয় দেশের জন্য তাতে আমার কোনও অসুবিধে নেই।’

টিকটক চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণহানি হয়েছে অনেকের। সে কথা মনে পড়তেই মিমি বললেন, ‘ভালই হয়েছে। যে অ্যাপ মানুষের ক্ষতি করেছে তা চিনের হোক বা ভারতের, বন্ধ হওয়াই কাম্য। তবে নুসরতের মতো মিমিও প্রশ্ন তুলেছেন, চিনা দ্রব্য বিক্রি ভারতে বন্ধ হলে তার পরিবর্তে সে রকম বড় কারখানা ভারতে আদৌ গড়ে উঠবে কি না? যে মানুষ চিনা পণ্য বেচাকেনার মাধ্যমে পেট চালান তাঁদের বিকল্প হিসেবেই বা কী ভেবেছে সরকার?

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত