এন্ড্রু কিশোরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ৭ দিন পর

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের বিদায়ে পুরো শোবিজ অঙ্গন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ প্লে-ব্যাক সম্রাট। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

এন্ড্রু কিশোরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এ গায়কের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে আগামী ১৫ জুলাই। তাঁর দুই সন্তান সপ্তক ও সংজ্ঞা এখন অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছেন। তারা দেশে ফিরলেই এন্ড্রু কিশোরকে সমাহিত করা হবে। তার আগ পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমাঘরে রাখা হবে তার মরদেহ।

স্বামীর মৃত্যুতে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন যে অভিনেত্রী

মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর বলে গিয়েছেন তাকে যেনো মায়ের পাশেই যেন সমাহিত করা হয়। সেই ইচ্ছানুযায়ী মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে।

গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যান্সারে (নন-হজকিন লিম্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। ৯ মাস পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন এন্ড্রু কিশোর ১১ জুন রাত আড়াইটার একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন। তারপর ঢাকার বাসায় বেশকিছু দিন অবস্থান করে শরীরের অবস্থা বিবেচনায় ও কোলাহলমুক্ত থাকতে তিনি গ্রামের বাড়ি রাজশাহী চলে যান।

১৯৭৭ সালে মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মাধ্যমে তাঁর প্লেব্যাক যাত্রা শুরু। যদিও ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রতীজ্ঞা সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানের মাধ্যমে প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বাংলা চলচ্চিত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে প্লেব্যাক করে। পেয়েছেন ৮বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

আইএন