ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডাকযোগে পাওয়া শুভেচ্ছাগুলো খুব মিস করি: ঈশিতা

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২০, ১৫:৩৮

ডাকযোগে পাওয়া শুভেচ্ছাগুলো খুব মিস করি: ঈশিতা

একটা সময় বিটিভি খুললেই টিভি পর্দায় দেখা যেতো রুমানা রশিদ ঈশিতাকে। নব্বইয়ের দশকে যার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলো বহু তরুণ-তরুণী। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও অভিনয়ে এখনও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন এক সময়ের নন্দিত এই অভিনেত্রী। তবে এখন আর আগের মত টিভি পর্দায় নিয়মিত পাওয়া যায়না তাকে। বিশেষ দিবস উপলক্ষ্যে মাঝেমধ্যে দেখা মেলে। স্বামী, সংসার, সন্তান সামলে সময় করতে পারলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। বলছি নন্দিত তারকা রুমানা রশীদ ঈশিতা’র কথা।

আজ ২২শে আগস্ট নন্দিত এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৮০ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দেখতে দেখতে জীবনের ৩৯ বসন্ত পার করে পা রাখলে ৪০-এ। জন্মদিন নিয়ে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই বলেই জানান তিনি।

‘নতুন কুঁড়ি’ খ্যাত ঈশিতা বলেন, আসলে আমি কখনওই জন্মদিন নিয়ে বিশেষ আয়োজন করিনি। পরিবার, বন্ধু-বান্ধব নিয়েই দিনটি কেটে যায়। আজকেও তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। রাতে আম্মুর বাসায় যাবো। সেখানে কেক কাটবো। মা এই দিনে আমার জন্য স্পেশাল কিছু আইটেম রান্না করেন। এইখানেই আমার তৃপ্তি।

জন্মদিন নিয়ে মজার স্মৃতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন তো সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা ফোনে উইশ করেন। সবার কাছ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা পাই। এমন ভালোবাসা পেতে কার না ভালো লাগে। মজার স্মৃতি বলতে, আমি অনেক ছোটবেলা থেকে শোবিজে কাজের কারণে অসংখ্য ভক্ত তৈরি হয়েছে হয়তো! তাঁদের থেকে বিভিন্ন সময়ে অনেক অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। তবে আগে বিভিন্ন রকম কার্ড ও শুভেচ্ছা পেতাম ডাকযোগে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডাকযোগে কার্ড পেতাম। এটা আমার খুব ভালো লাগতো। এইটা এখন খুব মিস করি।

এছাড়াও আরেকটি বিশেষ মুহূর্ত আছে আমার। আমি তখন হলি ক্রস স্কুলে পড়তাম। স্কুলে পড়ার সময়টাতে একটা বিষয় খেয়াল করতাম যে, আমার জন্মদিনটা পড়তো সবসময় স্কুলের পরীক্ষার সময়ে। কারণ আগস্ট মাসে আমার জন্মদিন হওয়ায়, এই সময়টাতে স্কুলে পরীক্ষা থাকতো সবসময়। যার জন্য আমার খুব মন খারাপ হতো। একবার জন্মদিনে খুব মন খারাপ হয়েছিলো বেশি। কারণ সেদিনও আমার পরীক্ষা ছিল। আমি তখন নানু বাসায় থাকতাম। পরীক্ষা শেষে বাসায় যাওয়ার পর আম্মু ফোন দিয়ে আম্মুর বাসায় যেতে বলল। গিয়ে দেখি বাসায় আমার দুই বান্ধবী আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত। আম্মুর সাথে পরিকল্পনা করে তারা পরীক্ষা শেষে আমার জন্য কেক কিনে বাসায় চলে আসে আমাকে সারপ্রাইজ দিতে। আমি সেদিন অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের সেরা স্মৃতিঘেরা মুহূর্ত।

আর জন্মদিনের সেরা উপহার যদি বলি তাহলে বলবো, আমার ছেলের কাছ থেকে পাওয়া কবিতা। আমার ছেলে যাভীর আগামী ২৫ শে আগস্ট ১১তে পা রাখবে। গত বছর আমার জন্মদিনে সে আমার জন্য একটা কবিতা লিখেছে। কবিতার ছন্দ,মিটার সবকিছুই ঠিক ছিল। আমার চোখে সেদিন পানি চলে এসেছিলো। আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের সেরা উপহার।

‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আশির দশকে প্রতিভার বিকাশ। ১৯৮৮ সালে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার অর্জন করে খ্যাতি পান। এরপর বিটিভিতে নাটকে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ও ফখরুল আবেদীনের পরিচালনায় ‘দুজনে’ নাটক ছিল তার অভিনীত প্রথম নাটক। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে শিশু শিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে আবির্ভাব হন টিভি নাটকে। এরপর টানা কাজ করতে থাকেন। নব্বইয়ের দশকে নানামাত্রিক চরিত্রে হাজির হয়ে ছড়িয়েছেন মুগ্ধতা। নিজের অভিনয় স্বকীয়তায় অর্জন করেন জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা। অভিনয়ের বাইরেও তিনি একজন সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, নাট্য পরিচালক ও শিক্ষিকা। ক্যারিয়ারের মধ্য গগনে বিয়ে করে অভিনয় থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি।

এরমধ্যে প্রকাশ করেছেন নিজের ৭টি গানের অ্যালবাম ও দুইটি বই। এছাড়াও অ্যালবামের বাইরে প্রকাশ করেছেন বেশ কিছু একক গান। শুধু তাই নয়, ১১ বছরে পা রাখতে যাওয়া নিজের ছেলে যাভীরের সঙ্গেও একটি গান প্রকাশ করেছেন তিনি।

আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত