ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

১৪ বছরে রিয়াজ-পূর্ণিমার ‘হৃদয়ের কথা’

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৫৩

১৪ বছরে রিয়াজ-পূর্ণিমার ‘হৃদয়ের কথা’

যখন ঢাকাই সিনেমার মন্দা সময় চলছিল ঠিক তখনই এক সিনেমা বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কাটপিসের যুগে বাঁক বদলের সূচনা করে ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমা, যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৬ সালে। সেবছরের ১৮ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ‘হৃদয়ের কথা’ নামের ছবিটিও অনেক কিছুর জবাব দিয়েছিলো। বলার মতো মোড় ঘুরেছিলো বাংলা গানের আঙিনাতেও।

ঠিক সেই সময়টাতে আশীর্বাদের ডাক নিয়ে আসলেন পরিচালক এস এ হক অলিক। তৎকালীন জনপ্রিয় জুটি রিয়াজ-পূর্ণিমাকে নিয়ে নির্মাণ করলেন ‘হৃদয়ের কথা’ ছবিটি। এর প্রযোজনাও করেছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। ‘হৃদয়ের কথা’ মুক্তি পেয়েই প্রমাণ করেছিলো ভালো সিনেমা কোনোদিন দর্শক খরায় ভুগে না। মৌলিক গল্প, রোমান্টিক আমেজ, জনপ্রিয় জুটির নান্দনিক অভিনয়, শ্রুতিমধুর সব গান, নির্মাণের মুন্সিয়ানায় ‘হৃদয়ের কথা’ চমকে দিলো ইন্ডাস্ট্রিকে। সব শ্রেণির মানুষ হলে ফিরল উৎসব আমেজে। এই ছবির সাফল্যে অনুপ্রাণীত হয়ে চলচ্চিত্রে ফিরলেন অশ্লীলতার জন্য অভিমানে চলচ্চিত্র ছেড়ে দেয়া অনেক নির্মাতা ও শিল্পী।

বাংলা গানের ভুবনে তখন ভীষণ খরা। আধুনিক গানের যে জনপ্রিয়তা সেটি প্রায় হারাতে বসেছিলো। ফিতার ক্যাসেট ছেড়ে সিডিতে ধাবমান হওয়া ইন্ডাস্ট্রি ভুগছিলো নতুন কিছু গ্রহণের সিদ্ধান্তহীনতায়। সেই সময়টাতে হাবিব ওয়াহিদ যেন জাদুর পরশ নিয়ে এলেন ‘হৃদয়ের কথা’ ছবিতে ‘ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু’ গানটি নিয়ে।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের কাছে তো বটেই, ভিন্ন আমেজ আর হৃদয় ছোঁয়া সুরের কাছে মন সঁপেছিলেন সব বয়সের শ্রোতাই। তখন প্রায় সবখানেই বেজেছে এই গানটি। পাশাপাশি এসআই টুটুলের কণ্ঠে ‘যায় দিন যায় একাকী’ গানটিও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। এই গানগুলো বাংলা ছবির গানে নতুন মাত্রা যোগ করে দিলো। সেই থেকে আজ অবধি চলচ্চিত্রের গানে একটা ভিন্নতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

আজ ছবিটি মুক্তির ১৪ বছর পূর্ণ হলো। পরিচালক এস এ হক অলিক এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন। তিনি একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘১৮ অক্টোবর ২০০৬, শুক্রবার, আজ থেকে ১৪ বছর আগে, আমার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র হৃদয়ের কথা মুক্তি পায়। আগের রাতে চিন্তায় একদম ঘুমাতে পারিনাই। শুক্রবার সকাল ৯:৪০ মিনিটে প্রথম ফোন আসে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে- হাউজ ফুল।

১০:৩০ মিনিটে মধুমিতা থেকে ফোন- হাউজ ফুল। ১০:৪৫ মিনিটে বলাকা থেকে ফোন- হাউজ ফুল। তারপর দেশের একে একে ২৯টি সিনামা হলে সারাদিনে ৫টি করে শো হাউজ ফুল। আজ সেই কথা মনে পড়ছে বারবার।’

সিনেমাটির নায়ক-নায়িকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘রিয়াজ ভাই, পূর্ণিমা, তুহিন ভাইসহ হৃদয়ের কথার পুরো পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ সরল দর্শকদের কাছে। আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি। জানিনা এমন দিন আর কোনোদিন আসবে কিনা।’

ছবিটি মুক্তির ১৪ বছর নিয়ে রিয়াজ বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১৪ বছর কেটে গেল। এ ছবির এক দশক পূর্তিতেও কথা বলেছিলাম। আসলে অনুভূতিটা একই। পরিকল্পনা করে কাজ করতে পারলে সাফল্য খুব একটা কঠিন হয় না। আমরা ছবিটি নির্মাণের আগে অনেক পরিকল্পনা করেছিলাম। চেয়েছিলাম, ছবিতে এমন কিছু থাকবে যা দর্শককে হলে আনবে। এমন কিছু গান করবো যেগুলো শহরের প্রাইভেটকারগুলোতে বাজবে।

কারণ, তখন বাংলা ছবি নিয়ে একটু শিক্ষিত মানুষগুলোর মধ্যে নেতিবাচক একটা ধারণা ছিলো। আমরা সেটি করতে পেরেছিলাম। প্রাইভেটকার তো বটেই, সকল শ্রেণির মানুষের কাছেই পৌঁছেছিলো হাবিব ওয়াহিদের গানটি। অন্য গানগুলোরও জনপ্রিয়তা ছিলো আকাশছোঁয়া।’

বাংলাদেশ জার্নাল/ আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত