ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মেকআপে হয়নি বলে থ্রেডিং করতে হয়েছে আমাকে: সাবিলা

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২১, ১৫:৪৬  
আপডেট :
 ১৫ মার্চ ২০২১, ১৬:১৬

মেকআপে হয়নি বলে থ্রেডিং করতে হয়েছে আমাকে: সাবিলা
সাবিলা নূর

মুম্বাই থেকে ফিরেছেন গত ১২ মার্চ, ফিরেই আবারও শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ছোট পর্দার এই সময়ের জনপ্রিয় তারকা সাবিলা নূর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘বঙ্গবন্ধু’তে শেখ রেহানার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এরইমধ্যে দুই দফায় শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ‘এক্সচেঞ্জ’ খ্যাত এই অভিনেত্রী। দেশে ফিরেই বাংলাদেশ জার্নালের বিনোদন বিভাগে কথা বলেন তিনি। তার আলাপচারিতার চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো...

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথমবার সিনেমায় নাম লেখালেন তিনি। এ বিষয়ে সাবিলা নূর বলেন, আমি সবসময়ই বলে এসেছিলাম যে সময় হলেই আমি সিনেমা করবো। এবার সেই সময়ের সাথে সুযোগও এসে গেলো যার কারণে মিস করিনি। অনেক অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি কিন্তু সেগুলোতে নিজেকে মানানসই মনে হয়নি আমার কখনো। যার কারণে এতদিন সময় লেগেছে। যখন ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ডাক পেলাম তখন মনে হলো এটা আমার করা উচিত। সুযোগটা লুফে নিলাম। এটা আমার জন্য শুধু সিনেমা নয়, সারাজীবনের একটা অর্জন হয়ে থাকবে।

শেখ রেহানা চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করা প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি যেই চরিত্রটা করছি সেটার জন্য আমার বেশ ভালভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কাজটা শুরু করতে হয়েছে। শেখ রেহানা আপার ১৪ থেকে ২২ বছর বয়সের চরিত্রটা আমি প্লে করছি এখানে আর এটার মধ্য দিয়েই শেষ হয়। আমার ছোট বয়সের দুজন দুটি চরিত্র করছেন। আমার পর আর কেউ নেই এখানে। যেহেতু আমার চরিত্রটা দিয়েই শেষ হচ্ছে তাই আমার একটা বাড়তি দায়িত্ব ছিল এটা নিয়ে। আমি সেই অনুযায়ী সেই সময়টাতে উনি কেমন ছিলেন, কীভাবে চলতেন, কীভাবে কথা বলতেন সবকিছু আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছি। শেখ রেহানা আপার সঙ্গে দেখা করেছি, কয়েকবার বসেছি, উনার কাছে গল্প শুনেছি। এছাড়াও আমি বেশ কিছু ভিডিও কালেকশন করে দেখারও চেষ্টা করেছি। অনেক কিছু রিসার্চ করতে হয়েছে। লুকেরও একটা বিষয় ছিলো। লুকে একটু ভিন্নতা আনতে হয়েছে। আমার কপালের একটা সিগনেচার শেইপ আছে, কপালের সামনে চুলের অংশটা ‘ভি টাইপের’। এটাকে পরিবর্তন করতে হয়েছে সেমি পার্মানেন্টলি। মেকআপ দিয়ে সেটা পরিবর্তন করা যাচ্ছিলো না। এরজন্য থ্রেডিং করতে হয়েছে আমাকে। তারপর রেহানা আপার চোখের কালারও ডিফারেন্ট ছিল, এরজন্য আমার চোখের কালারও পরিবর্তন করতে হয়েছে লেন্সের মাধ্যমে। সবকিছু মিলিয়েই ইনসার্ট করার চেষ্টা করেছি। লুক, বডি মুভমেন্ট, জ্যাস্টার, কথা বলার ধরণ; সবকিছু যেন চরিত্রটাকে ঠিকভাবে জাস্টিফাই করতে পারে।

মুম্বাইতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, এমন প্রশ্নে নায়িকার উত্তর- দেশের বাইরে এর আগেও একবার কাজ করেছি আমি। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলাম। কিন্তু এবার সিনেমার জন্য কাজ করলাম। সেখানকার সবাই সময়টাকে বেশ মেইনটেইন করে। এক কথায় দারুণ অভিজ্ঞতা। খুব সকালে কল টাইম থাকে, সন্ধ্যায় আমার প্যাকআপ হয়ে যায়। সেইসাথে অবশ্যই বলবো শ্যাম বেনেগালের মত নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি, অনেক কিছু শিখেছি। আর পার্থক্য যদি বলি তাহলে বলবো, পার্থক্য রয়েছে সিস্টেমে। আমরা যেমন লেইটে শুটিং শুরু করি, তারা টেকনিক্যালি এবং মেকানিক্যালি অনেক অর্গানাইজড। সময়টা খুব মেইনটেইন করে। সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে শুটিং শুরু হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে প্যাকআপ হয়ে যায় প্রতিদিন। আমি তো আমার দেশের কাজের প্যাটার্নের সাথে কাজ করে অভ্যস্ত; যার কারণে সেখানে কাজ করতে একটু কষ্ট হয়েছে। তাদের সেট নির্মাণ দেখে আমি তো পুরা অবাক। এত সুন্দর করে ফ্ল্যাজেটলি সেট নির্মাণ করে, জাস্ট অসাধারণ। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নাম্বারের বাসাটা এখানে সম্পূর্ণ সেট নির্মাণ করে তৈরি করা হয়েছে। কোনো হাউজে শুটিং নয়, সেটে শুটিং করেছি। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এটা নকল! মনে হবে যেন ধানমণ্ডির ৩২ নাম্বার থেকে বাড়িটা তুলে এনে জাস্ট এখানে বসিয়ে দেয়া হয়েছে! খুবই ফ্যান্টাস্টিক, একদম পারফেক্ট সেট ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই চমৎকার। অনেক এনজয় করেছি। সেসময় আমি আমার নাটকের শুটিংটা খুব মিস করছিলাম।

ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ প্রথমবার মুম্বাইতে শুটিংয়ে অংশ নেন তিনি, ফিরেন ১৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর দ্বিতীয় দফায় মার্চের ৩ তারিখ মুম্বাইয়ে অংশ নিয়ে দেশে ফিরেন ১২ মার্চ রাত ৩টায়। সেদিন রাতে ফিরেই পরদিন সকালে আবার তিনি একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নেন। বাংলালিংকের এই বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন পিপলু খান। একই নির্মাতার সঙ্গে এর আগে বিকাশের দুটি বিজ্ঞাপন করেছিলেন সাবিলা।

তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনটির বিষয়ে আগেই ডেট দেয়া ছিলো যার কারণে ফিরেই কাজটিতে অংশ নিয়েছি। পিপলু ভাইয়ের সাথে এর আগে বিকাশের দুটি বিজ্ঞাপন করেছিলাম। বিজ্ঞাপনে খুব কম দেখা যায় কারণ, যেহেতু একটা প্রোডাক্টের সঙ্গে এন্ডরসমেন্টে যেতে হয় তাই সেটা সম্পর্কে ভালভাবে জেনে বুঝে তারপর করার চেষ্টা করি। এছাড়া নাটকে অনেক বেশি সময় দেয়ার কারণে অনেক সময় ব্যাটে-বলে মিলে না।

এদিকে সোমবার থেকেই ঈদের নাটকের শুটিং শুরু করেছেন সাবিলা। রাকেশ বসু পরিচালিত ‘ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ম্যাথ’ শিরোনামের এ নাটকে সাবিলা ছাড়াও রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও কলকাতার ঋষি কৌশিক। আসছে ঈদে এটি আরটিভিতে প্রচারিত হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত