ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘এক ডালা কাঁচের চুড়ি’র জন্য মন খারাপ ছিলো: নাবিলা

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৭  
আপডেট :
 ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:৫২

‘এক ডালা কাঁচের চুড়ি’র জন্য মন খারাপ ছিলো: নাবিলা
মাসুমা রহমান নাবিলা

উপস্থাপনা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও প্রথম বিজ্ঞাপন দিয়েই দর্শক পরিচিতি পেয়েছিলেন মাসুমা রহমান নাবিলা। মডেলিং ও উপস্থাপনা এ দুই নিয়েই ছিল তার পথচলা। মাঝেমধ্যে দেখা দিয়েছেন টেলিভিশন নাটকেও। তবে ২০১৬ এক সিনেমা দিয়েই বাজিমাত করে বসেন এই নায়িকা। অভিষেক সিনেমা ‘আয়নাবাজি’ দিয়েই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে নেন তিনি। এরপর অনেকটা বছর নতুন কোন সিনেমায় দেখা না গেলেও গেল বছরে ‘১৯৭৫-অ্যান আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমাতে অংশ নেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই নায়িকা।

অনেকদিন তাকে নতুন কোনো কাজে দেখা যাচ্ছে না। তবে সে কারণও জানিয়েছেন ইতিমধ্যে। তিনি জানিয়েছেন, আসছে জুলাইয়ে মা হতে চলেছেন এই অভিনেত্রী, যার কারণে এখন কাজ বন্ধ রেখেছেন। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছোঁয়ার আগে থেকেই বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। জন্মদিন নিয়ে গতবারের মতো এবারও তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই তার।

মাসুমা রহমান নাবিলা জানিয়েছেন, গত বছরেরও করোনার লকডাউন ছিল, এবারও তাই। যার কারণে কোনো পরিকল্পনা নেই। অনেক পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও কিছুই করা হয়ে উঠেনি। শুধু দূর থেকে সবার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পেয়েছি এবারও পাচ্ছি। এটা নিয়েছি আছি। মা ঢাকাতে থাকা সত্ত্বেও বাসায় আসতে পারছেন না। এরজন্য একটু তো মন খারাপ হচ্ছেই। অন্য সময় রাত বারোটার আগেই সবাই বাসায় চলে আসে। কিন্তু এখন পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে সন্ধ্যায় হয়তো আসতে পারে বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ জার্নালকে ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই নায়িকা বলেন, জন্মদিন নিয়ে একটা সময় অনেক অনেক প্ল্যান ছিল, মজা করতাম, উপভোগ করতাম। কিন্তু এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স যত বাড়ছে ততই যেন সবকিছু ফরমাল হয়ে যাচ্ছে। আগের মত সেই উচ্ছ্বাস বা আনন্দটা কিন্তু নেই। তবে সবাই নানা মাধ্যমে দিনটিকে মনে রেখে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, এটা অনেক ভালো লাগছে। সবার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা।

জন্মদিন নিয়ে মজার স্মৃতি প্রসঙ্গে নাবিলা বলেন, যখন ছোট ছিলাম তখনকার অনেক মজার মজার স্মৃতি রয়েছে। মাঝেমধ্যে সেগুলো মনে হলে নিজে নিজে হেসে উঠি। আবার মন খারাপও হয়। কারণ, গত কয়েক বছরে আমার ফ্রেন্ডস, ফ্যামিলি ফ্রেন্ডস অনেকেই দুনিয়া থেকে চলে গিয়েছেন, যারা কিনা আমাকে প্রতি জন্মদিনে নানানভাবে সারপ্রাইজড করতো। এখন তাদের কথা মনে হলেই ভীষণ মন খারাপ হয়। গতকালকেও তাদের কথা মনে হচ্ছিলো আমার যে, তারা তো আর কখনো আমাকে উইশ করবে না।

তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের জন্মদিনটা ছিল আমার জন্য সবচেয়ে মেমোরেবল। সেসময় কোনো কারণে আমি দেশের বাইরে ছিলাম, কাতারে। আর তার জন্য আমি খুব আপসেট ছিলাম। কিন্তু সেসময়েই আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি। কারণ, আমি দেশের বাইরে থাকলেও আমি যে একা রয়েছি সেটা কেউ অনুভবই করতে দেয়নি। আমার ফ্রেন্ডস, ফ্যামিলি এবং স্বামী জুবাইদুল হক রিম সবাই মিলে আমাকে বলতে গেলে মাস ব্যাপী জন্মদিন পালন করেছে। মার্চ মাস থেকে উইশ করা শুরু করে এপ্রিলে গিয়ে শেষ করেছে। এটা আমার বেশ ভালো লেগেছিলো।

সারপ্রাইজ পাওয়া প্রসঙ্গে নাবিলা বলেন, এখন পর্যন্ত অনেক সারপ্রাইজই পেয়েছি, ভীষণ খুশিও হয়েছি। তবে একবার আমার ভীষণ মন খারাপ হয়েছিলো রিমের উপর। বিয়ের আগে আমি তাকে বলেছিলাম যে, আমার বিয়ের সময় সে যেন আমার জন্য ‘এক ডালা কাঁচের চুড়ি’ পাঠায়, কারণ কাঁচের চুড়ি আমার খুব খুব প্রিয়। কিন্তু দেখা গেলো সে বিয়ের সময় এটা পাঠায় নি। আমার খুব মন খারাপ হয়েছিলো। আমি ভেবেছিলাম সে মনে হয় ভুলে গিয়েছে। পরে জানতে পারি সে তার পরিবারকে বলেছিলো পাঠাতে কিন্তু কোনো কারণে হয়তো সেটা মিসিং হয়ে গিয়েছে। সেই বিয়ের পর আমার প্রথম জন্মদিনে রিম আমাকে সেই কাঁচের চুড়ি দিয়ে সারপ্রাইজ দিয়েছিলো। তখন আর রাগ করে থাকিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত