ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আমি হ্যাপি, তারাও অনেক হ্যাপি: তাসনুভা তিশা

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৩১  
আপডেট :
 ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ২১:১৩

আমি হ্যাপি, তারাও অনেক হ্যাপি: তাসনুভা তিশা
অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা

‘মাত্র অল্প সময়ের পরিচয়, এরপর কাছাকাছি আসা। এই সময়টা আমি বেশ উপভোগ করেছি বলবো। কারণ, আমার কাছে মনে হয়েছে আমি যেন এখনও টিনেজে রয়েছি। ওর সঙ্গে বেশিরভাগ সময় শুধু ফোনে কথা হতো আর টেক্সটিং হতো। এভাবেই হঠাৎ করে প্রেম, তারপর বিয়ের পরিকল্পনা।’- এভাবেই নিজের হবু স্বামী সম্পর্কে বলছিলেন তাসনুভা তিশা।

গতকাল শনিবার ( ১৫ জানুয়ারি) অভিনেত্রীর বনশ্রীর বাসায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তিশা ও সৈয়দ প্রিন্স আসকারের বাগদান সম্পন্ন হয়। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পরিবার ও কাছের মানুষদের নিয়ে ঘরোয়াভাবে তাদের বিয়ে (আকদ) হবে বলে জানান তিশা। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসেই সবার উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন।

তাসনুভা তিশা বলেন, এখনও আমি শুটিং করছি রাজবাড়িতে। শুটিংয়ের জন্য বিয়ের সময়টাও ঠিকমতো গুছিয়ে উঠতে পারছি না। গতকাল আমার যখন বাগদান হয় তখনও শুটিং ইউনিটের গাড়ি আমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো আমাকে নেওয়ার জন্য। তারপর বাগদান শেষ করে শাড়িটা পাল্টেই সাথে সাথে রাজবাড়িতে শুটিংয়ে চলে আসি। এখানে আরও প্রায় ৮ দিনের মত শুটিং করতে হবে। সামনেও বেশ কিছু কাজের ডেইট দেওয়া। এর ফাঁকে বিয়ের তারিখটা ঠিক করতেই খবর হয়ে গেছে।

দুজনের ভালো লাগার শুরু কীভাবে, এমন প্রশ্নে তিশা বলেন, ‘আসকার একটি এজেন্সিতে কাজ করে অর্থাৎ শেয়ার হোল্ডার। হুট করেই পরিচয় এরপর কথাবার্তা। আমাদের দেখা খুব কম হয়েছে। ফোনে কথা হয়েছে বেশি। প্রেমের প্রস্তাবটা আমি-ই দিয়েছিলাম। একদম শুরুতেই আমার সম্পর্কে সবকিছু জানিয়েছিলাম। তিনমাস আমরা দুজন দুজনকে আপনি করেই বলতাম। এরমধ্যেই দুজন দুজনের প্রতি ভালোবাসাটা অনুভব করি। এরপর লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতাম। তখন নিজেকে টিনেজ মনে হতো। বেশ ভালোই কাটতো সময়টা। এরপর আমরা সিরিয়াস হয়ে যেতে লাগলাম। বিয়ে করবো বা করবো না; এই চিন্তাটা তখনও করিনি।

আসকার পরিবারের ছোট ছেলে, পরিবার থেকে তাকে বিয়ে দিতে চাচ্ছিলো। এরপর সে তার পরিবারে আমার সম্পর্কে জানায়। আমি মিডিয়াতে কাজ করি, আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে; এগুলো জেনেও আমার শাশুড়ি আমাকে ভীষণভাবে আপন করে নিয়েছেন। উনার কথায়, ‘‘প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এক্সিডেন্ট থাকে। এটা তেমন কোনো ব্যাপার নয়।’’ উনারা এত বেশি পজেটিভ ও আন্তরিক দেখে আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে, এরপর সিদ্ধান্ত নিই যে তাহলে বিয়েটা করা যায়। উনাদের কোনো অভিযোগ নেই, বরংচ অনেক খুশি। আমি অনেক খুশি, তারাও অনেক বেশি খুশি। আর সবেচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমার মেয়ে ওর সাথে খুব কমফোর্টেবল।’

তিনি আরও বলেন, ‘০২-০২-২২ তারিখটিকে স্মৃতিময় করে রাখতেই বিয়ের জন্য এই তারিখটি চূড়ান্ত করি। ওইদিন পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে (আকদ) হবে। তাছাড়া ওর (আসকার) বড় ভাই দেশের দেশের বাইরে থাকেন। উনি ৩০ জানুয়ারি দেশে আসবেন। উনি দেশে থাকতে থাকতেই বিয়ের অনুষ্ঠান করে ফেলবো এবং সেটা ফেব্রুয়ারি মাসেই।’

সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিশা বলেন, আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই । আশা করবো সবাই নেগেটিভিটি ভুলে সবাই আমাদের পাশে থাকবেন। ​

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত