ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

টিকে থাকার জন্য আমার তো ঢাল–তলোয়ার লাগবে: নিপুণ

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫২  
আপডেট :
 ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৭

টিকে থাকার জন্য আমার তো ঢাল–তলোয়ার লাগবে: নিপুণ

সদ্য ভারতে মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমা মুক্তির আগেই সারা ভারতে হইচই ফেলে দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশে ‘পাঠান’ আমদানি করা নিয়ে আবারও আলোচনায় আসে দেশে হিন্দি সিনেমা আমদানির বিষয়টা। সম্প্রতি প্রদর্শক সমিতির সহায়তায় অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি পরিবেশক প্রতিষ্ঠান আমদানি-রপ্তানির নীতিমালা মেনে ছবিটি আমদানি করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ‘পাঠান’ নিয়ে চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখে দেয়।

এরপর মন্ত্রণালয়ে আমদানি-রপ্তানি কমিটি মিটিংয়ে বসে। তবে মিটিংয়ে ‘পাঠান’ মুক্তি পাওয়া না–পাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। তবে মন্ত্রী চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের অনুমতিক্রমে বছরে ১০টি সিনেমা আমদানির করা যেতে পারে বলে মত দেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে একটি সভার আয়োজন করেন। মিটিংয়ে কমিটির সদস্যরা ছাড়াও আলমগীর, সুজাতাসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অভিনেতা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় শিল্পী সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, ‘পরিবেশক ও হল মালিকেরা হিন্দিসহ সব ধরনের ছবি এখানে চালাতে চাচ্ছেন। জ্যেষ্ঠ অনেকে উপস্থিত থাকলেও সোহেল রানা স্যার, সুচন্দা আপারা আসতে পারেননি। তবে তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি, তারা মতামত দিয়েছেন। এখন শর্তগুলো নিয়ে বাকি ১৮ সংগঠনের সঙ্গে বসব আমরা। এরপর সবার মতামত মন্ত্রী মহোদয়কে জানানো হবে। বর্তমান সিনেমা, সিনেমা হলের পরিস্থিতি বিবেচনা করে কিছু শর্তের বিনিময়ে হিন্দি ছবি আমদানির পক্ষে আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘একসময় সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ৩০০। কমতে কমতে তা এখন ঠেকেছে ৬০ থেকে ৬৫টিতে। হিন্দি ছবি আমদানি করার পেছনে আমাদের লক্ষ্য সিনেমা হল বাড়ানো। বন্ধ হলগুলো ফিরিয়ে আনা। এখন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিন্দি ছবির মাধ্যমে যদি হলগুলো ফেরার সুযোগ হয়, সেটি হোক সমস্যা তো নেই।’

‘কিছু নতুন হল তৈরি হলে পুরোনো হল সংস্কার হলে প্রযোজকেরা সিনেমা বানাতে আগ্রহী হবে। হিন্দি সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নতুন নতুন সিনেমা তৈরি হবে। তখন দেশি ছবির বাজারও বড় হবে। এই যে এত বড় একটি বাজার এখানে খুলে দেওয়া হচ্ছে, সেটির সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। টিকে থাকার জন্য আমার কিছু ফাইন্যান্স লাগবে, ঢাল–তলোয়ার লাগবে। সেটার জন্য আমার কিছু চাওয়া ছিল। এজন্যই হিন্দি ছবি আনলে লাভের ১০ ভাগ দিতে বলেছি।’- যোগ করেন নিপুণ।

কয়েক বছর আগে হিন্দি ছবি আমদানির বিরুদ্ধে প্রদর্শক সমিতি ছাড়া চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন আন্দোলন করে। শেষ পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্তে হিন্দি ছবির আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন ধরে আবারও হল মালিক সমিতি হিন্দি ছবি আমদানির ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত