মাকসুদের জন্য মঞ্চে গাইবে চার ব্যান্ড
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১৬:০৬
![মাকসুদের জন্য মঞ্চে গাইবে চার ব্যান্ড](/assets/news_photos/2023/03/18/image-232527-1679134238bdjournal.jpg)
১৯৭৮ সালে পেশাদার সংগীতজীবন শুরু করেন মাকসুদুল হক। সময়ের হিসাবে এ বছর তার ৪৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
‘মাকসুদ-৪৫ ইয়ারস ইন মিউজিক কনসার্ট’ শিরোনামে এ কনসার্ট আয়োজক ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সন্ধ্যায় এ কনসার্ট শুরু হবে। আয়োজনে আরও থাকছে ব্যান্ডদল মাইলস, ফিডব্যাক, দলছুট ও পেন্টাগনের পরিবেশনা।
৪৫ বছর পূর্তির আয়োজন নিয়ে মাকসুদুল হক কথা বলেছেন গণমাধ্যামের সাথে। তিনি বলেন, আমি এই জীবনই দেখতে চেয়েছিলাম। হয়তো আরেকটু বেশি পেতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয়তো আমার নিজের কারণেই হয়নি। এটাও ঠিক, আমি অন্য দশজনের মতো গা ভাসিয়ে দিইনি। হয়তো কিছু নিয়মনীতি মেনে চলেছি, তাও হতে পারিনি। জীবনে অনেক কিছু হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, না হওয়ারও অনেক কারণ থাকতে পারে। যতটুকু হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট।
মাকসুদ বলেন, আমি চাইতাম, আমি এত ব্যস্ত থাকি যে প্রতিদিন যেন স্টেজ শো থাকে। সেটা তো আর হয় না। বছরে হয়; কারণ, আমাদের তো সিজনাল। শীতকালে হয় তো বর্ষাকালে হয় না। সব সময় যদি গান নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারতাম। শ্রোতাদের সঙ্গে প্রতিদিন সরাসরি দেখা হওয়ার মধ্যে থাকতে পারতাম আরকি।
শ্রোতা সম্পর্কে এই জনপ্রিয় শিল্পী বলেন, পুরোনো সব গান শ্রোতারা অনুরোধ করেন। গানের প্রতিটা লাইন তাদের মুখস্থ। সেই গানগুলো যখন আমার সঙ্গে শ্রোতারা গান, অনেক শক্তি, সাহস, অনুপ্রেরণা পাই। বাঁচার শক্তিটা বাড়িয়ে দেয়।
গানে গানে ৪৫ বছর, এ পথ চলাকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে মাকসুদ বলেন, একজন শিল্পীর কর্মজীবনের ৪৫ বছর খুব সহজে আসে না। জীবনের একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছলাম। এত বছর পার করেছি তা ভাবতেই অবাক লাগে। ১৯৭৮ সালে ফিডব্যাকে যোগ দিয়েছিলাম। সেই হিসেবে চলতি বছর আমার ৪৫ বছর হলো। সংগীতজীবনে নানা চড়াই-উতরাই গেছে। ফিডব্যাক ছেড়ে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করি নিজের ব্যান্ড ‘মাকসুদ ও ঢাকা’। শ্রোতারা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। দীর্ঘ যাত্রায় যারা সঙ্গী হয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
দেশের ব্যান্ডসংগীতের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ভালো সময় চলছে। অনেক ব্যান্ড সৃষ্টি হচ্ছে। কনসার্ট বেড়েছে। রক ফেস্টিভ্যাল হচ্ছে। আমরা যখন শুরু করি তখন এত দল ছিল না। গানের জন্য যন্ত্রপাতি পাওয়া যেত না। গিটারের তার ছিঁড়ে গেলে অপেক্ষা করতে হতো। কেউ বিদেশে গেলে তাকে অনুরোধ করে যন্ত্রপাতি আনতাম। ধার করে শো চালাতাম। এ অবস্থা এখন আর নেই। আমরা বাংলা গানকে ধ্বংস করছি, মেলোডি নষ্ট করে দিয়েছি এ রকম অভিযোগও শুনতে হয়েছে। সেগুলো থেকে আমরা উঠে এসেছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ/জিকে