ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলা গানের এক কিংবদন্তি শাহনাজ রহমতুল্লাহ

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৪  
আপডেট :
 ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৭

বাংলা গানের এক কিংবদন্তি শাহনাজ রহমতুল্লাহ
শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ফাইল ছবি

‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’—জনপ্রিয় কিছু দেশাত্মবোধক গান। আর এসব গানের গায়ক কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ।

‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে? এবার বল’গুণী এই শিল্পীর কণ্ঠে এই তিনটি গান বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা বিশ বাংলা গানের তালিকায় স্থান পায়।

কিংবদন্তি এই শিল্পী ১৯৫৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সেই গায়িকা হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করেন পাকিস্তান রেডিও ও টিভিতে। তখন তিনি শাহনাজ বেগম নামে পরিচিতি পান। দেশাত্মবোধক গানের জন্য তিনি ছিলেন ব্যাপক সমাদৃত।

১৯৬৩ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। সেই চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘নতুন সুর’। এরপরের বছর ১৯৬৪ সালে প্রথম টেলিভিশনে গান করেন। শাহনাজ রহমতুল্লাহর পিতার নাম এম ফজলুল হক ও মাতার নাম আসিয়া হক। শাহনাজের ভাই আনোয়ার পারভেজ সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং আরেক ভাই জাফর ইকবাল ছিলেন চিত্রনায়ক।

শাহনাজ রহমতুল্লাহর উল্লেখযোগ্য আরও গানের তালিকায় রয়েছে, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘সাগরের তীর থেকে’, ‘পারি না ভুলে যেতে’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’, ‘যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়’, ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘আরও কিছু দাও না’, ‘এই জীবনের মঞ্চে মোরা কেউবা কাঁদি কেউবা হাসি’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ প্রমুখ।

১৯৯২ সালে একুশে পদক পান শাহনাজ রহমতুল্লাহ। ১৯৯০ সালে ‘ছুটির ফাঁদে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহর আজ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের আজকের দিনে তিনি অনন্তলোকে পাড়ি জমান। দৃষ্টিসীমানার ওপারে ভালো থাকুক শাহনাজ রহমতুল্লাহ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত