ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মৃত্যুর ১০ বছর পরও বিতর্কে মাইকেল জ্যাকসন

মৃত্যুর ১০ বছর পরও বিতর্কে মাইকেল জ্যাকসন

বিশ্ব জুড়ে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা কারণে তাকে বলা হত পপ সম্রাট। মৃত্যুর প্রায় দশ বছর পরও তার জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। ফলে বিতর্কও ছেড়ে যায়নি তাকে। বলছিলাম মাইকেল জ্যাকসনের কথা। এবারের বিতর্কের জন্ম তার ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রকে ঘিরে।

একসময় দুনিয়া মাতানো এই সঙ্গীত শিল্পিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র 'লিভিং নেভারল্যান্ড' এই মাসেই প্রথম প্রদর্শনী হবে সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে। কিন্তু তার আগেই সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে ‘মাইকেল জ্যাকসন শিশুদের যৌন নিপীড়ন করতেন।’ এ ধরনের অভিযোগ এর আগেও অনেকবার উঠেছে।

তবে এই তথ্যচিত্রে তার কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করছেন এমন দু’জনের সাক্ষাৎকার রয়েছে। অভিযোগকারী ওই দুই পুরুষ বলছেন, তাদের বয়স যখন সাত ও দশ বছর তখন তারা জ্যাকসনের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের দু’ জনের বয়স এখন তিরিশের কোঠায়।

১৩ বছর বয়সী এক কিশোর জ্যাকসনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ একবার 'নেভারল্যান্ড' নামে পরিচিত তার খামারবাড়িতে তল্লাসি চালিয়েছিলো। এই খামারবাড়িটির নামেই তথ্যচিত্রটির নামকরণ।

এই অভিযোগে সেই সময় মাইকেল জ্যাকসনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। তবে ২০০৫ সালে তাকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

'লিভিং নেভারল্যান্ড' তথ্যচিত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘জনপ্রিয়তাকে ঘিরে তার যে ক্ষমতা তৈরি হয়েছিলো, তারকাদের ঘিরে শিশুদের মনে যে ধরনের চরম উন্মাদনা তৈরি হয়, মাইকেল জ্যাকসন সেটির অপব্যবহার করতেন, ছলচাতুরীর অবলম্বন করতেন।’

দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন ড্যান রিড। এটি তৈরির পেছনে রয়েছে এইচবিও ও চ্যানেল ফোর-এর মতো বড় বড় নাম। ড্যান রিড, এইচবিও ও চ্যানেল ফোর যৌথভাবে তথ্যচিত্রটির প্রযোজক।

মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার এই তথ্যচিত্রের দাবিকে 'কুরুচিপূর্ণ' বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে তথ্যচিত্রটি দিয়ে মাইকেল নামটিকে অপব্যবহারের এক 'জঘন্য চেষ্টা' বলে অভিযোগ করেছেন।

২০০৯ সালে জুন মাসের ২৫ তারিখ কয়েকটি ঔষধের অতিরিক্ত বা ভুল প্রয়োগে মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছিলো।

সেই চিরচেনা ভঙ্গিতে মাইকেল জ্যাকসন

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত