ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সুচরিতার আক্ষেপ!

  আসিফ আলম

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:২২  
আপডেট :
 ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২১

সুচরিতার আক্ষেপ!

জাতীয় চলচ্চিত্রের পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুচরিতা। আসল নাম বেবী হেলেন হলেও ঢাকাই চলচ্চিত্রে সুচরিতা নামেই পরিচিত।সুচরিতার অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়েছিল শিশুশিল্পী হিসেবে। পরে বহু চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করে পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। ১৯৭২ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘স্বীকৃতি’ ছবিতে প্রথম নায়িকা হিসেবে কাজ করেন।

১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘জাদুর বাঁশি’ ছবিটি তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। ইলিয়াস কাঞ্চন, ওয়াসিম এবং উজ্জলের সঙ্গে বেশ কিছু রোমান্টিক ছবিতে তার জুটি গড়ে ওঠে।

গেলো বুধবার অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন। বনভোজনকে ঘিরে কম বেশী অনেক তারকাই ছিলেন সেখানে। ছিলেন অভিনেত্রী সুচরিতাও। বিকেলের দিকে সবাই যখন গান আর নাচে ব্যস্ত ছিলো ঠিক সে সময় একা একাই আনমনে হাঁটছিলেন এই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী।

মেঘবাড়ি রিসোর্টের সুইমিং পুলের পাশে যখন তিনি একা একা হাঁটছিলেন তাকে দেখে একটু আলাপচারিতার উদ্দেশে এগিয়ে যাওয়া। সুইমিং পুলের কাছে তার সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ জার্নালের প্রতিবেদকের।

আলাপচারিতার শুরুতেই কেমন আছেন একা একা এখানে হাঁটছেন কেনো জানতে চাইলে মুখে একটু হাসি নিয়ে বলেন,‘এই বয়সে আর কেমন থাকবো বুঝেনই তো। ওখানকার পরিবেশ আমার ভালো লাগছে না। এতো মানুষ। শিল্পীদের পিকনিকে এতো মানুষ কোথা থেকে এলো বুঝতে পারছিনা। এমন হলে তো আর আসা সম্ভব হবে না। তাই এখানে মেয়ের সঙ্গে হাঁটছি।’

এখন তেমনভাবে আপনাকে আর চলচ্চিত্রে দেখা যাচ্ছেন না কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কী আর কাজ করবো ছবিই তো নেই এখন। আমার কথা বাদ দিলাম সুপারস্টার শাকিব খানের হাতেও তেমন ছবি নেই। তাহলে বুঝুন চলচ্চিত্র অবস্থা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। এইসব আয়োজন আর আগের মত আনন্দ দেয়না। কষ্ট লাগে চলচ্চিত্রের এই অবস্থা দেখে। নানা ধরনের প্রোগ্রাম করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। তারা সেই প্রোগ্রাম না করে চলচ্চিত্র বানাক, অল্প বাজেটে হলেও। চাঁদা তুলে এই সব অনুষ্ঠান না করে, সিনেমা নির্মাণ করা উচিত।’

আগের মতো আর ছবি করছেন না বর্তমানে তাহলে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন জানতে চাইলে আবারো মুচকি হাসি দিয়ে বলেন, ‘অন্য সব মা-বোনেরা যেভাবে বাসায় সময় কাটায় সেভাবেই কাটাচ্ছি। কিছুদিন আগে ওমরা হজ করে আসলাম। ইচ্ছে আছে আাগামীতে বড় হজ করার।’

বর্তমান সময়ের পছন্দের নায়িকা কে বা কারা এমন প্রশ্নের জবাবে এই গুনী অভিনেত্রী বলেন, ‘অপুর সাথে আমি কাজ করেছি ওকে আমার ভালো লাগে। পরীমনি একটা ফুল প্যাকেজ। দেখতে যেমন সুন্দর অভিনয়েও তেমন। আর আঁচল কে বেশ ভালো লাগে অনেক ভদ্র একটা মেয়ে।’

গল্প আর নিভর্রযোগ্য চরিত্র পেলে আবারো নিয়মিত কাজ করতে চান সুচরিতা। উল্লেখ্য, ‘জীবন নৌকা’, ‘জনি’, ‘রঙিন জরিনা সুন্দরী’, ‘ডাকু মনসুর’, ‘এখনো অনেক রাত’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘কথা দিলাম’, ‘সমাধি’, ‘ত্রাস’, ‘দ্য ফাদার’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘আপনজন’, ‘নাগরদোলা’, ‘বাল্যশিক্ষা’, ‘বদলা’, ‘রকি’, ‘মাস্তান’, ‘তাল বেতাল’, ‘জানোয়ার’, ‘আসামী’, ‘তুফান’, ‘নদের চাঁদ’, ‘ঘর-সংসার’, ‘সাক্ষী’, ‘আঁখি মিলন’, ‘দাঙ্গা’, ‘অস্তিত্ব’সহ আরও অনেক ছবিতে জনপ্রিয়তার সঙ্গে কাজ করেছেন এ অভিনেত্রী। প্রয়াত গুণী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন সুচরিতা। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত