পাসওয়ার্ড: প্রশংসাপত্রের পাশাপাশি পেলো অভিযোগপত্রও
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৯, ১৮:৫৯ আপডেট : ১৮ জুন ২০১৯, ১৯:০২
এবার ঈদে সারা দেশের ১৭৭ টি হলে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ও প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘পাসওয়ার্ড’। ঈদে ছবিটি বেশ সাড়া ফেলেছে। যার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় সপ্তাহে হল সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৪ এ।
ছবিটি মুক্তির পর প্রথম সপ্তাহ পার হতেই প্রশংসায় ভাসছেন শাকিব খান। বিভিন্ন সংগঠন থেকে জানানো হচ্ছে অভিন্দন। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল সোমবার এর প্রযোজক বরাবর প্রশংসাপত্র পাঠায়।
ঠিক একই দিনে ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি নকল ও এর স্বপক্ষে পরিচালক মালেক আফসারীর নজিরবিহীন বক্তব্য প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রটি দিয়েছেন নাট্য ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা আনন্দ কুটুম।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক (শাকিব ও ইকবাল) এবং পরিচালক মালেক আফসারীর বিরুদ্ধে সেন্সর বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন এই সংস্কৃতিকর্মী। কোরিয়ান ছবি ‘দ্যা টার্গেট’ এর নকল শাকিব খানের ‘পাসওয়ার্ড’ উল্লেখ করে অভিযোগপত্রে ৮টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে-
পাসওয়ার্ড ছবির কোথাও উল্লেখ নেই যে এটি ‘দ্য টার্গেট’ ছবির কপিরাইট নিয়ে নির্মিত হয়েছে। ছবির কোথাও উল্লেখ নেই যে এটি বিদেশি সিনেমার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত। পুনঃসেন্সরের মাধ্যমে পরিস্কার হওয়া যাবে যে ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি নকল। লোকেশন ভিন্ন হলেও দুটো সিনেমার দৃশ্যধারণ করা হয়েছে একইভাবে। গল্প, দৃশ্য, শট, অ্যাকশন, নকলের পাশাপাশি প্রপসের ক্ষেত্রেও নকল করার প্রবনতা ছিল।
যখন একজন পরিচালক বিদেশি সিনেমা নকল করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বলে যে এটা নকল নয়-গবেষণা, তখন পরবর্তী প্রজন্মের নির্মাতারা আশাহত হন। অন্যের গল্প এবং দৃশ্যধারণ নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া কি নিয়ম বহিঃর্ভূত নয়?
কোরিয়ান সিনেমা দ্য টার্গেটের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট, পাসওয়ার্ড ছবির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। এ কারণে পাসওয়ার্ড ছবিটি নকল নয়-এমনটা দাবি করেন পরিচালক মালেক আফসারি। উল্লেখ্য- গান ও কয়েকটি দৃশ্য বাদে পাসওয়ার্ড ছবিটি পুরোটাই নকল।
চিঠিটি সেন্সর বোর্ড গ্রহণ করেছে। এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারি আনন্দ কুটুম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মালেক আফসারির মত পরিচালকদের এই বার্তাটুকুই আমরা পৌঁছে দিতে চাই যে, দেশ এতোটা অথর্ব হয়ে পরেনি যে এখানে যা ইচ্ছা তাই বলে দেওয়া যায়। যা ইচ্ছা তাই চুরি করে হজম করে ফেলা যায়।’
এমন অবস্থায় সেন্সর বোর্ডের পদক্ষেপ কী হতে পারে তা দেখার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ জার্নাল /এএ