ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘স্ক্যান্ডাল’-এর পর কোথায় হারালেন নোবেল?

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৪২  
আপডেট :
 ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৪৭

‘স্ক্যান্ডাল’-এর পর কোথায় হারালেন নোবেল?

মাইনুল আহসান নোবেল। যিনি নেট দুনিয়ায় নোবেল ম্যান নামেই পরিচিত। কলকাতার ‘সা রে গা মা পা’ অনুষ্ঠান থেকে আলোচনায় আসেন তিনি। বিভিন্ন শিল্পীর গলাকে নকল করে তাদের জনপ্রিয় সব গান গেয়ে তিনি পরিচিতি পান ও আলোচনায় আসেন।

প্রচারণার ডামাঢোলে নোবেলকে নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। কিন্তু আচরণ ও আলাপচারিতায় অপরিপক্কতার প্রমাণ দেয়া নোবেল এরইমধ্যে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে অনেকের কাছে ‌‌বিরক্তিরও পাত্র। কোরবানি ঈদের আগ মুহূর্তে নোবেল ‌জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্কিত এক মন্তব্য করে কলকাতা ও বাংলাদেশ দুই দেশের সংগীতপ্রেমীদের রোষানলের শিকার হন।

এবার সেই নোবেল আলোচনায় নগ্ন ছবি দিয়ে। সম্প্রতি এক কিশোরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ হয়েছে ছবিগুলো। সেইসঙ্গে নোবেলকে মাদকসেবী, নারীলোভী আখ্যা দিয়ে ওই কিশোরী আবেগঘন একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। যেখানে নোবেলের সঙ্গে তার প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন তিনি।

অল্প সময়ের মধ্যেই নোবেলকে নিয়ে লেখা স্ট্যাটাস ও নগ্ন ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। সেগুলো পোস্ট করে অনেকেই নোবেলের চারিত্রিক দুর্বলতার সমালোচনা করছেন।

এদিকে শাহরিন সুলতানা নামের ওই কিশোরীর পোস্টের পর প্রায় ১০ ঘণ্টা ফেসবুকে দেখা যায়নি দশ লাখেরও বেশি ফলোয়ার সমৃদ্ধ নোবেলের ফেসবুক পেজটি। এই বিষয়টিকে অনেকেই উল্লেখ করছেন নোবেলের বিপক্ষে। তাদের দাবি, নোবেলের বিপক্ষে আনা ওই কিশোরীর অভিযোগ সত্যি বলেই নোবেল নিজের পেজ ডিঅ্যাক্টিভ রেখেছিলেন। অনেকেই দাবি করছেন, ভাইরাল হওয়া নোবেলের নগ্ন ছবিগুলো তার নিজের বাসাতেই তোলা। তারই বেডরুমে। সেগুলো ওই কিশোরীকে পাঠিয়েছেন নোবেল। এইসব ছবি ফটোশপ হওয়ার সম্ভাবনাও খুব কম। তারা নোবেলকে নিয়ে গণমাধ্যমের মাতামাতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে এমন দাবিও করছেন, বারবার নোবেল নানা বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। তবু তাকে নিয়ে কোন সমৃদ্ধির শিল্প সংস্কৃতির স্বপ্ন দেখা হচ্ছে?

নগ্ন ছবির বিষয়ে জানতে নোবেলের মুঠোফোনে বাংলাদেশ জার্নাল থেকে কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া আরো জানা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে নোবেলকে ফোন দেয়া হলেও তিনি রেসপন্স করছেন না।

এ বিষয়ের সত্যতা জানতে নোবেল ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই! স্ক্যান্ডাল ফাঁস হওয়ার পর থেকেই নোবেল একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে হারিয়ে গেছেন। তাহলে কি ধরে নেয়া যায় এ অভিযোগ সত্য? আর যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে সেটা হবে নোবেলের ক্যারিয়ারের জন্য একটা বিরাট ধাক্কা।

নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কিশোরীর আবেগঘন স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো...

ওই ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছে, ‘নোবেল, বাংলাদেশের লাখো মেয়ের ভালোবাসা। লাখো ছেলের আইডল। কিন্তু একমাত্র গোপালগঞ্জবাসীরাই চিনে ওর আসল রূপ। আজ আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো ভোলাভালা চেহারার পিছে লুকিয়ে থাকা এক হিংস্র জানোয়ারের সাথে যাকে আপনারা সবাই নোবেলম্যান নামে চিনেন। আমার মত অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ইজ্জত নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার উপর যদি নোবেল থাকতো, তাহলে তা এই সারাগামাপা খ্যাত মাদকাসক্ত নোবেল-ই পেতো। মাদক আর নারীর নেশায় আসক্ত নোবেলকে আজ যখন কোটি মানুষ আইডল মানে, তা দেখে আসলেই দেশের ফিউচার জেনারেশান নিয়ে খুব ভয় হয়। মাদকাসক্ততার কারনে দুইবার রিহ্যাবে গিয়ে মাদকের নেশা থেকে কয়েকদিন দূরে ছিল। কিন্ত নারীর নেশার জন্যতো রিহ্যাব নেই। আর এটি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার মত শত শত মেয়ের জন্য।

নোবেলের সাথে আমার পরিচয় হয় গতবছরে, যখন আমার বয়স মাত্র ১৫। প্রেম ভালোবাসা এগুলো তত বুঝতামনা। নোবেল আমাকে বুঝতে শিখায় ভালোবাসা কি। বয়স কম থাকার কারনে ওর প্রতিটা ফাঁদে খুব সহজেই পরে যাই। এই ফাঁদে শুধু আমি পরিনি। আমার মত আরো অনেক মেয়েই পরেছে। মেয়েগুলো বেশিরভাগি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। কিন্ত নোবেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলার সাহস সব মেয়েগুলোর দিন দিন নোবেলের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ক্রমশ কমতে থাকে। আজ আমি কিছুটা সাহস নিয়ে আসলাম। আমি ডিপ্রেশানে চলে গিয়েছি। মাঝে মাঝে নিজের জীবনটা দিয়ে দিতে মন চায়। কিন্ত আত্মহত্যা মহাপাপ বলে তা পারিনা। যদিও আমার আত্মাটা নোবেল আরো আগেই মেরে ফেলেছে।

আপনারা সবাই ভাবছেন নোবেল এগুলো কেমনে করে? আমি যদি বলি ওর এই সকল কুকর্ম ওর বাবা মা ও জানে তাহলে বিশ্বাস করবেন? প্রত্যেকটা মেয়েকে ও ওর বাসায় নিয়ে যায় ফিজিক্যালি ইনভল্ব হওয়ার জন্য। ওর বাবা মার সাথেও পরিচয় করায় বন্ধু হিসেবে। অন্যদিকে মেয়েটাকে আশ্বাস দেয় যে বাবা মার সাথেতো পরিচয় হয়েছেই। বিয়েও করবে মেয়েটাকে। এখনতো সব করা যায়। আমিও এই ফাঁদে পা দিয়েছি। ওর পিপাসা মিটলে ওর ওই বাবা মার সামনেই মেয়েটাকে অপমান করে বের করে দেয়। আর ওর বাবা মা কিছুই বলেনা। তাই ওর এমন হওয়ার পিছে ওর পরিবারো দায়ী!! নোবেলের নিজের একটা বোন আছে। কিভাবে সে অন্যের বোনের জীবন এভাবে ধ্বংস করে আমার জানা নেই। অনেকেই বলবেন ওর নামে কেস করতে। ওর নামে কেস করেও লাভ নেই। পুলিশ ওর বাবার পকেটে থাকে।

সবশেষে বলবো যে আমি জানি এই সমাজ আমাকেই খারাপ বলবে। আমি-ই গালি খাবো নোবেলের ফ্যানদের থেকে। কারণ আমাদের সমাজে সব দোষ মেয়েদেরই হয়। এই পোস্ট দিয়ে নোবেলের কিছুই হবেনা এটাও আমি জানি। কিন্তু যাই হোক না হোক, আমার ভিতরের মৃত আত্মাটার কিছুটা শান্তি হবে এই জানোয়ারটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে। ওর আসল চেহারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের দেখা উচিৎ। ওর মত ছেলে লাখো ছেলের আইডল হোক, এটি মেনে নেওয়া যায়না। শত মেয়ের জীবন নষ্টের কারণ কোন মেয়ের ক্রাশ হতে পারেনা।

ওর ব্যাপারে সর্বশেষ জানলাম যে ঈদের আগের দিনও মাতাল হয়ে গোপালগঞ্জের একজনের উপরে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। তার মানে রিহ্যাবে গিয়েও লাভ হয়নি। ও এখনো মাদক সেবন করে। আর নারীর নেশা কাটানোর জন্যতো রিহ্যাব ও নেই। এই নেশা ওর কাটবেনা!!

আপনাদের বিশ্বাস করানোর জন্য কিছু ছবি দিলাম। ছবিগুলো কিছু ও তুলেছে কিছু আমি আমার আর ওর ছবি, ওর বাসার রুমের ছবি (বিশ্বাস না হলে ওর বাসায় গিয়ে দেখে আসেন), কিউট হয়ে ঘুমিয়ে থাকার ছবিটিও দিলাম।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত