প্রিয়াঙ্কাদের জন্য দূষণ বাড়ছে!
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম প্রিয়মুখ গ্রেটা থুনবার্গের প্রশংসা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
গত সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে গ্রেটা থুনবার্গ বিশ্বের সব বাঘা বাঘা নেতার সামনে তাদের কঠোর সমালোচনা করে বক্তৃতা দিয়েছে।
তার ফলে গ্রেটা থুনবার্গ এখন গোটা পৃথিবীর কাছে চর্চিত বিষয়।
গ্রেটা সোমবার জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে বিশ্বনেতাদের বলেছিল, আপনারা আমাদের রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছেন। আপনারা বলছেন, তরুণদের কাছে আপনারা আশার খোঁজে এসেছেন। এ কথা বলার সাহস পান কোত্থেকে?
এই মন্তব্যকে সমর্থন করে পিগি চপস বলেন, ধন্যবাদ গ্রেটা থুনবার্গ, আমাদের মুখে উপযুক্ত ঘুষি মারার জন্য। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমাদের আরও ভাল করে জানা দরকার করণীয় কোনটা। কাজটা কঠিন হলেও তা করা দরকার। কারণ দিনের শেষে আমরা একটা গ্রহেই থাকি।
সঙ্গে সঙ্গে টুইটার পাল্টা মনে করিয়ে দেয়, বাজি পোড়ানো–বেসরকারি জেট ব্যবহার–রোলস রয়েস নিয়ে ট্রোলড হতে হয়েছিল তাকে।
এগুলোর একটিও পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য করা হয়নি। তাই ইন্টারনেট অভিনেত্রীকে ভণ্ড বলেছে। একজন টুইটার ইউজার লিখেছেন, এটা সত্যি, যে ধরণের জীবনযাপন সেলিব্রেটিরা করেন, তাতে তাদের কোনও অধিকার নেই পরিবেশ বাঁচানো নিয়ে কথা বলার। তাদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট একজন গরীব মানুষের জীবনের ক্ষতি করে থাকে অনেকাংশে। সেই ক্ষতির সমাধান করা কী সম্ভব পিসি?
আর একজন লিখেছেন, আপনার রোলস রয়েস গাড়ি প্রথমে বিক্রি করে দিন। ভণ্ড।
স্পামিন্দর ভারতী লিখছেন, কিছুদিন আগেই আপনি বিয়ে করেছেন। ৬ হাজার সিসি ইঞ্জিনের মার্সিডিজ চড়ছেন। গ্রেটা থুনবার্গের বক্তব্য শুনে কী সেটা ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন?
এছাড়া নেটিজেনরা তীব্র কটাক্ষ করেছেন তাকে। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর বিয়েতে বাজি পোড়ানো, সিগারেট খাওয়া–সহ নানা বিষয়ে বিঁধেছেন তাকে।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ বাঁচাতে ২০১৮ সালে সুইডেনের পার্লামেন্ট গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা পায় গ্রেটা থুনবার্গ।
গ্রেটাকে বিকল্প নোবেলখ্যাত ‘রাইট লাইভলিহুড’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে সুইডেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত বছর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে এই সুইডিশ তরুণী।
বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই