পূজায় ঢাক বাজিয়ে রোষের মুখে নুসরাত
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৩
ফের রোষের মুখে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। নুসরাতকে নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। বারবার নুসরাত জাহানের পিছনে বিতর্ক তাড়া করেছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতীয় ব্যবসায়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের নিখিল জৈনকে বিয়ে করার পর মঙ্গলসূত্র ও সিঁদুর পরা নিয়েও রোষানলে পড়েছিলেন তৃণমূলের প্রথম বারের সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরত জাহান। আর এবার একজন মুসলিম হয়েও দুর্গা পূজায় অঞ্জলি দিয়ে ও ঢাক বাজিয়ে রোষের মুখে পড়লেন তিনি।
নুসরাতের এই কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে নাম ও ধর্ম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন এক মওলানা। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ইত্তেহাদ উলেমায়-ই-হিন্দ সংগঠনের সহ সভাপতি মওলানা মুফতি আসাদ কাসমি প্রশ্ন তুলে জানান, ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী আল্লাহকে সর্বশক্তি হিসেবে মানা হয়, সেখানে নুসরাত যেটা করেছে সেটা হারাম। তাছাড়া সে ধর্মের বাইরে গিয়ে বিয়ে করেছে। তার নাম ও ধর্ম দুটোই পরিবর্তন করা উচিত। মুসলিম নাম নিয়ে যারা ধর্মের অবমাননা করে ইসলাম তাদের গ্রহণ করে না।
কাজমি বলেন, নুসরত যা করেছেন তা ইসলাম বিরুদ্ধ। উনি ইসলামের বদনাম করেছেন। তাই তার উচিত নিজের নামটা বদলে ফেলা।
উল্লেখ্য, শাড়ি ও সিঁদুর পরে স্বামী নিখিল জৈনকে সঙ্গে নিয়ে রোববার কলকাতার সুরুচি সংঘের দুর্গাপূজায় উপস্থিত ছিলেন নুসরাত। এসময় চোখ বুঁজে, হাত জোড় করে মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে দেখা যায় নুসরাতকে। পরে ঢাকও বাজান তিনি। লাল শাড়ি পরা নুসরাত নাচেন কয়েকজন নারীর সঙ্গেও। গণমাধ্যমের দৌলতে সেই ছবিভাইরাল হয়ে যায়। স্বামীর সঙ্গে নুসরাত নিজের ছবি পোস্টও করেন ইনস্টাগ্রামে।
এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান নিজে জানান সকলের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় তিনি ঠাকুরের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলায় আমরা সকলে একত্রিত হয়ে সব উৎসব পালন করি। আমি সবসময় এই উৎসবের অংশীদার হওয়াটা উপভোগ করি।’
এ নিয়ে নুসরাতের স্পষ্ট জবাব, ‘কোনো বিতর্ক নিয়েই আমি মাথা ঘামাই না।’
এমএ/
